১৫ সেপ্টেম্বর মালদহের চাঁচল মহকুমা আদালত উদ্বোধনের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বার অ্যাসোসিয়েশনকে পাঠানো চিঠিতে মহকুমা আদালত উদ্বোধনের সম্ভাবনার কথা জানান মালদহ জেলা ও দায়রা বিচারক। মুখ্যমন্ত্রী সফরের আগে বুধবার বিকেলে তিনি বার আসোশিয়েশনের সভাপতিকে ওই চিঠি দেন। সেখানে মহকুমা আদালত উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ জানানোর পাশাপাশি তাঁদের সহযোগিতা সহ পরামর্শ চাওয়া হয়। পূর্ত দফতরের নির্বাহী বাস্তুকারকেও মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মালদহে জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সভায় পূর্ত দফতরের কর্তাদের কাছে আদালত তৈরির পরিকাঠামো তৈরির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। অবশেষে মহকুমা গঠনের এক যুগ পরে আদালত চালু হওয়ার সম্ভাবনার কথা চাউর হতে খুশির আবহ তৈরি হয়েছে। মালদহ বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলা ও দায়রা বিচারক ১৫ সেপ্টেম্বর চাঁচলে মহকুমা আদালতের উদ্বোধনের সম্ভাবনার কথা জানান। এ জন্য সহযোগিতা ছাড়াও পরামর্শ থাকলে জানাতে বলেছেন।” পূর্ত (ভবন) দফতরের মালদহের নির্বাহী বাস্তুকার জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, “জেলা ও দায়রা বিচারক চাঁচলে মহকুমা আদালত উদ্বোধনের সম্ভব্য তারিখ জানান। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী আদালত ভবনের পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য জানতে চান। তাঁকে তা জানানো হয়েছে।” ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে চাঁচল মহকুমা গঠিত হয়। কিন্তু আদালত চালু না হওয়ায় বাসিন্দাদের আদালত সংক্রান্ত কাজের জন্য প্রায় ১০০ কিমি দূরে মালদহে যেতে হচ্ছে। ওই সমস্যার সমাধানের জন্য চাঁচল রাজবাড়ির একাংশ কেনা হয়। সেখানেই বসবে মহকুমা আদালত। অন্য অংশে চাঁচল কলেজ। ২০১১ সালে রাজবাড়ি সংস্কারের জন্য ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কাজ শেষ হয়েছে। তৈরি হয়েছে ৬টি এজলাস। চাঁচল ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য সুবেশ মিত্র বলেন, “জেলা ও দায়রা বিচারকের পাঠানো চিঠিতে মহকুমা আদালত উদ্বোধনের কথা জেনেছি।” বিধায়ক আসিফ মেহবুব বলেন, “মহকুমা আদালতের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ। আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আদালত চালুর বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি জানান পুজোর আগে মহকুমা আদালতের উদ্বোধন হবে। অনুষ্ঠানে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকতে পারেন।” মহকুমা আদালত উদ্বোধনের খবরে খুশি চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতি। সংস্থার সম্পাদক প্রাণগোপাল পোদ্দার বলেন, “দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটতে চলেছে। এর ভাল কী হতে পারে।” |