|
|
|
|
ডেঙ্গি বাড়ছে, ওয়ার্ড পরিক্রমা পুরকর্তাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
নদিয়া জুড়ে প্রায় প্রতি দিনই ডেঙ্গি-আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু গ্রামগঞ্জ এলাকাই নয়, খোদ কৃষ্ণনগর শহরেই মিলেছে ৫ জন ডেঙ্গি রোগীর সন্ধান। ফলে উদ্বিগ্ন পুরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি ডেঙ্গি যাতে ছড়াতে না পারে, তার জন্য বিভিন্ন ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ফিল্ড টেস্ট কিট’ বা ‘এন এস-১’ কিটের মাধ্যমে স্থানীয় ভাবে পরীক্ষা করে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে ৪৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। যদিও কলকাতায় ব্যয়বহুল ‘ম্যাট এলিজা’ কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা করে নিশ্চিত ভাবেই ১২ জন রোগীর সন্ধান মিলেছে। অবশ্য এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি বলে জেলার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত কেউ মারা না গেলেও যে ভাবে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে।” আর তাই ডেঙ্গির হাত থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে জেলার সর্বত্র কড়া নজরদারি রাখতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষকে শুধু সচেতন করাই নয়কোনও পরিবারে কারও জ্বর হলেও তার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করার বিষয়েও তাঁরা উদ্যোগী হচ্ছেন।
কৃষ্ণনগর শহরে পুরসভার নিজস্ব স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সচেতন করছেন এবং একই সঙ্গে মশা মারার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। শহরের ৬টি ওয়ার্ডে দু’বেলাই বড় মশা মারার কামান এবং ১২টি ওয়ার্ডে মশা মারার তেল ছড়ানো হচ্ছে। কৃষ্ণনগর পুরসভার পুরপ্রধান অসীম সাহা বলেন, “পনেরো দিন আগে থেকেই আমরা ডেঙ্গির প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত শহরে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।” ডেঙ্গির মোকাবিলায় বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। যেমন তুমুল জ্বর, গাঁটে গাঁটে ব্যথা ও তীব্র মাথার যন্ত্রণা হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। বিশেষ করে যদি কালো পায়খানা হয়, নাক ও মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে, বা চামড়ার তলায় রক্ত জমার মতো উপসর্গ দেখা দেয়তবে রোগীকে বাড়িতে না রেখে, সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেছেন তাঁরা। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই মণ্ডল বলেন, “ডেঙ্গি প্রতিরোধে সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|