|
|
|
|
হাট-খাজনা বন্ধের হুমকি |
নিজস্ব সংবাদদাতা •শামুকতলা |
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত ডুয়ার্সের বেহাল শামুকতলা হাট সংস্কারের কাজ শুরু না-হওয়ায় খাজনা বন্ধের হুমকি দিলেন ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ, হাটের সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার জানিয়ে লাভ হয়নি। বছরে কয়েক লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও হাট সংস্কারের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার ঘোষ। তিনি বলেন, “শুধু আশ্বাস মিলেছে। গত বছর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, বাস্তুকার সহ প্রতিনিধি দল হাট ঘুরে দেখেন। তাঁরা আশ্বাস দেন দ্রুত উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। অথচ প্রতি বছর কয়েক লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে।” সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপ্তি দত্ত। |
|
ছবি তুলেছেন রাজু সাহা। |
তিনি বলেন, “জেলার বড় হাটগুলির মধ্যে শামুকতলা হাট অন্যতম। ওই হাটের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। কিছু প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।” ব্যবসায়ীরা জানান, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য সামান্য বৃষ্টিতে জল কাঁদায় নাকাল হতে হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। দশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি সুলভ শৌচাগার নির্মাণ হলেও তিন বছর ধরে সেটা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। হাট জুড়ে আবর্জনার স্তুপ। মাছ মাংসের নোংরা জল পড়ে থাকে রাস্তায়। কয়েকটি হাই ড্রেন নির্মাণ হলেও প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। হাট জুড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। কিছু শেড ভেঙে পড়লেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই। প্রতি শুক্রবার পাইকারি সবজি বাজার বসছে প্রধান সড়কের উপরে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জেলার বড় হাট শামুকতলা। এখান থেকে জেলা পরিষদ বেশি রাজস্ব আদায় করে। অথচ হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কোনও উদ্যোগ নেই। কয়েকবার দাবি জানিয়ে লাভ হয়নি। সব থেকে বেহাল দশা গরু, ধান, পাট, সবজি ও ছাগল হাটের। ব্যবসায়ীরা জানান, ওই হাট থেকে প্রতি বছর জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ ১৫ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করে। ওই অর্থের সামান্য অংশ হাট সংস্কারের কাজে খরচ করা হয় না। হাট ব্যবসায়ী জামসেদ মিয়াঁ বলেন, “জল কাদার জন্য হাটে দাঁড়ানো যায় না। জল ও শৌচাগারের সমস্যা জটিল আকার নিয়েছে। দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়া হলে খাজনা বন্ধ করে দেওয়া হবে।” যদিও জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য গৌতম রায় বলেন, “শামুকতলা হাট উন্নয়নের জন্য কিছু প্রকল্প ‘গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন স্কিমে’ পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।” |
|
|
|
|
|