সন্ত্রাসের শেষ হবে কবে? এমন প্রশ্ন বোধহয় পৃথিবীর প্রায় সব মানুষেরই। চটজলদি সমাধান যে কেউ পাচ্ছেন না তা অনস্বীকার্য। তাই বলে চেষ্টারও ত্রুটি নেই। বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে তার একটা দিশা পেতে মরিয়া মানুষ। শুধু সন্ত্রাস তো নয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও মানুষকে আরও এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বাড়ছে অনাচার, অত্যাচার ও ভ্রষ্টাচার।
সমাধান পুরোপুরি হোক বা না হোক, সঙ্গীতকে সেই সমাধানের লক্ষ্যে পৌঁছে দিলে কেমন হয়? এমনই চিন্তা ভাবনায় প্রথম উদ্যোগের সাফল্যের পরে দ্বিতীয় পদক্ষেপ নেওয়ার তোড়জোড় চলছে ‘সংকট মোচনের লক্ষ্যে সঙ্গীতের প্রয়োগ’। |
শুধু কলকাতা নয়, দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের কৌতূহল ও উৎসাহ দেখে আবারও এই শহরে অনুষ্ঠিত হবে রাগ অনুরাগ মিউজিক রিসার্চ অ্যাকাডেমির অভিনব প্রচেষ্টা। তবে বাড়তি একটি লক্ষ্যমাত্রাও সংযোজিত হবে। ‘মানুষের মনের শুদ্ধিকরণ’। কেন? “ক্রাইসিস থেকে বেরিয়ে আসতে প্রথমেই প্রয়োজন এই শুদ্ধিকরণ। ভুল পদক্ষেপ বা অন্যায়ের শিকার হয়ে অনেকেই আর ঠিক পথ খুঁজে পান না। সঙ্গীতের সপ্তসুর সেখানে যে কোনও মানুষের অস্থিরতাকে কাটাতে বাধ্য। যা বিদেশে ভীষণ ভাবে কাজ করেছে”, দাবি উদ্যোক্তা স্মৃতি লালার।
কিন্তু শুধু কি সপ্তসুরেই তা সীমাবদ্ধ থাকছে? না। এ বার তার সঙ্গে সংযোজিত হবে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের, এমনই দাবি উদ্যোক্তাদের। এরই সঙ্গে বাদ যাচ্ছেন না রবীন্দ্রনাথও। পৃথিবী জুড়ে অস্থিরতা ও অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু রচনায় তার প্রতিফলন ঘটেছিল। সন্ত্রাস নিরসনে সেই সব রচনাবলি থেকে নেওয়া হয়েছে বাছাই করা কিছু কবিতাও। শান্তি, স্বস্তি, সহাবস্থান-তিনটিই যেন মিলে যায় সঙ্গীতের সুরে সুরে। পুজোর পরেই সেই স্বাদ পরিপূর্ণতা পাবে ৭ অক্টোবর মহাজাতিসদনে। |