টুকরো খবর |
মিড-ডে মিলের দুর্নীতি ধরলেন বিডিও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
মিড-ডে মিলের হিসাবে ছাত্রী সংখ্যা বেশি দেখানোর অভিযোগ উঠল পটাশপুর-১ ব্লকের অমর্ষি বৃন্দাবনচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মিড-ডে মিল সংক্রান্ত অন্য একটি দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার স্কুলে এসে বিডি অমিতেন্দু পাল এই অনিয়ম ধরে ফেলেন। প্রধানশিক্ষিকাকে এই নিয়ে শো-কজও করেছেন বিডিও। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন ছাত্রীকে মিড-ডে মিলে খাওয়ানো হয়। বুধবার মিড-ডে মিল খাওয়ার পর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীরা অভিযোগ করে, তাদের ডিম দেওয়া হয়নি। শিক্ষিকারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রান্নার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই ডিম লুকিয়ে রেখেছেন। ক্ষুব্ধ শিক্ষিকারা ওই কর্মীদের একটি ঘরে বন্ধ করে খবর দেন বিডিওকে। বৃহস্পতিবার স্কুলে সেই ঘটনারই তদন্তে আসেন বিডিও। সেখানেই তাঁর নজরে আসে দিনের পর দিন ছাত্রী সংখ্যা বেশি দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল বেশি তুলছেন স্কুলেরই প্রধানশিক্ষিকা। শুক্রবার আবার রান্নার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবিতে বিডিও-র কাছে স্মারকলিপিও দেন এলাকার একাংশ বাসিন্দা।
বিডিও অমিতেন্দু পাল বলেন, “ওই স্কুলের বি রুদ্ধে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ আসছিল। গত ২০ জুলাই আমি নিজে তদন্তে গিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে এলেও তাঁরা ত্রুটি সংশোধন করেননি। বৃহস্পতিবার ওই স্কুলে গিয়ে মিড-ডে মিল সংক্রান্ত নথিতে গরমিল দেখি। ওই নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গরমিলের কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি দিয়েছি প্রধান শিক্ষিকাকে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা নন্দিতা গিরি সাঁতরা ও তৃণমূল পরিচালিত স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক আশিস সিংহ বলেন, “সরকারি ভাবে বরাদ্দ করা চাল ও টাকায় ছাত্রীদের ঠিক ভাবে খাওয়ানো যায় না। তাই বহু স্কুলের মতো আমাদের স্কুলেও ছাত্রী সংখ্যা কিছুটা বাড়িয়ে দেখানো হয়। তবে তা সংখ্যালঘু ও তফসিলি জাতি অধ্যুষিত এলাকার ছাত্রীদেরই স্বার্থে।”
|
দখলদার উচ্ছেদে নোটিস তমলুকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
|
পুনর্বাসনের দাবিতে তমলুকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ |
দখলদারদের সরাতে বৈঠক হয়েছিল আগেই। এ বার তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড় ও মানিকতলায় হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের ধারে বেআইনি দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য নোটিস দিল পূর্ত দফতর। বেআইনি নির্মাণগুলির মধ্যে অধিকাংশই দোকানদার। আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। না হলে প্রশাসন নিজেই উচ্ছেদকাজে নামবে বলে জানিয়েছে। তমলুকের মহকুমাশাসক শশীকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, সড়ক সম্প্রসারণ-সহ বিভিন্ন উন্নয়নের কাজের উদ্দেশ্যেই পূর্ত দফতরের ওই জায়গায় দখলদারদের সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগে এই নিয়ে পূর্ত দফতর, পুরসভা কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। শহরের হাসপাতাল মোড় ও মানিকতলা মিলিয়ে প্রায় ২৫০টি বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ দিকে, ওই দুই এলাকার জবরদখলকারী ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে শুক্রবার তমলুকের মহকুমাশাসক ও তমলুকের পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তমলুকের পুরপ্রধান দেবিকা মাইতি বলেন, “পূর্ত দফতর বেআইনি নির্মাণ সরাতে যে পদক্ষেপ করছে, তা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। তবে সড়ক সম্প্রসারণের পর ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের সুযোগ থাকলে বিবেচনার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।”
|
গুদামঘরে হানা দিয়ে সার বিক্রি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
সারের কালোবাজারি রুখতে তৎপর হয়েছে কৃষি দফতর। শুক্রবার হলদিয়া মহকুমার মহিষাদল ব্লকের কৃষি আধিকারিকেরা স্থানীয় এক ডিলারের গুদামঘরে হানা দিয়ে প্রায় এক বছরের পুরনো ২০৯ বস্তা সার ন্যায্য দামে বিক্রি করে দেন। এক বছর আগে ওই সব সারের যে দাম ছিল, সেই দামেই ১৮০ জন চাষিকে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান কৃষি দফতরের আধিকারিক মৃণালকান্তি বেরা। বেশি দাম পাওয়ার উদ্দেশ্যেই ওই সার মজুত করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও রঞ্জিত মাইতি নামে সংশ্লিষ্ট ডিলারের দাবি, বিক্রি না হওয়াতেই সার পড়েছিল গুদামঘরে।
|
বন্ধ ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক কলেজ, আদিবাসী পড়ুয়াদের বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
প্রাতঃবিভাগের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের অবস্থান-বিক্ষোভের জেরে গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যত বন্ধ ঝাড়গ্রামের সেবায়তন এলাকার ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক’। ২০০৫ সালে ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক-এ আদিবাসী ছেলেমেয়েদের জন্য পৃথক ভাবে প্রাতঃবিভাগে সিভিল, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যালএই তিনটি বিষয়ের চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হয়। অভিযোগ, কেবলমাত্র আদিবাসীদের জন্য এই কোর্স চালু হলেও আজ পর্যন্ত উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়নি। ডিপ্লোমা কোর্সটি চার বছরের হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে বলে বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের দাবি, বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে তিন বছরের ডিপ্লোমা-কোর্স প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পলিটেকনিক-এর দিবাবিভাগে সাধারণ পড়ুয়াদের কোর্সটি তিন বছরের। ফলে, চার বছরের কোর্সটি করে আদিবাসী পড়ুয়ারা চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না। অবিলম্বে আদিবাসীদের জন্য ডিপ্লোমা কোর্সটিও তিন বছরের করার দাবি জানানো হয়েছে। উপযুক্ত অর্থ বরাদ্দ করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সামগ্রী, সঠিক সময়ে ভর্তি ও পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবির পাশাপাশি, ‘তথ্যপ্রযুক্তি’, ‘কম্পিউটার সায়েন্স টেকনোলজি’ ও ‘ইলেকট্রনিক্স’ বিভাগ চালুর দাবি করেছেন আদিবাসী ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, ২০১১-১২ বর্ষের ফলপ্রকাশ এখনও হয়নি, এমনকী চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি। আন্দোলনকারীদের পক্ষে রেশমি মুর্মু, সুদীপ্ত হাঁসদা ও সুমিত হাঁসদারা জানিয়ে দিয়েছেন, দাবিগুলি পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ভারপ্রাপ্ত-অধ্যক্ষ পার্থব্রত মাইতি বলেন, “আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
|
গাড়ি চুরি চক্রের পাণ্ডা গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
গাড়ি চুরি চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম তন্ময় বটব্যাল। বাড়ি ঘাটালের বরদা গ্রামে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘাটালের যদুপুর থেকে পুলিশ তাকে ধরে। শুক্রবার ধৃতকে ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগে হাওড়ার আমতা থেকে একটি গাড়ি চুরি হয়। এই নিয়ে আমতা থানায় একটি মামলাও হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গাড়ি বিক্রির সময়েই তন্ময়কে হাতেনাতে পাকড়াও করে ঘাটাল থানার পুলিশ। কিন্তু পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে তার দুই সঙ্গী ও চোরাই গাড়িটির ক্রেতা পালিয়ে যায়। বিকেলে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে এলাকায় অভিযান চালালেও তাদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিষয়টি জানানো হয় আমতা থানায়। আমতা থানার পুলিশ দ্রুত ঘাটাল আদালতে আবেদন করে তন্ময় বটব্যালকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ও তদন্ত শুরু করে। ঘাটাল থানার পুলিশের দাবি, ধৃতকে জেরা করে গাড়ি চোরাই চক্রের অন্য সদস্যদের নাম জানা গিয়েছে। ওই চক্রে মোট ১৬ জন রয়েছেন। অধিকাংশই হাওড়ার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার হাওড়া থেকেই এক ব্যাক্তি ওই গাড়িটি কিনতে এসেছিলেন। জেরায় তন্ময় জানিয়েছে, ঘটনার দিন তাঁর সঙ্গে ছিল ঘাটালের যদুপুরের বাসিন্দা বিবেক দোলুই ও হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা শেখ সাহাবুদ্দিন ওরফে লাখি। এই দু’জনেই গাড়ি চুরি চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তন্ময় আগে মোটর বাইক চুরি করত। এর আগে বাইক চুরির ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছে সে। পুলিশের নজর এড়াতে এ বার গাড়ি চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে সে। আমতা ও ঘাটাল থানার পুলিশ গাড়ি চুরি চক্রের অন্য সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
|
ছিনতাই, ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
মাস তিনেক আগে পটাশপুরের চন্দনপুরে তিন পথচারীকে মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত সুনীল নায়েকের বাড়ি বেলদার রাধানগর গ্রামে। ওই গ্রাম থেকেই মঙ্গলবার রাতে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বিক্রম নায়েককে ধরা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, বিক্রমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সুনীলের খোঁজ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার রাতে সুনীলকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাকে কাঁথি এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
|
ট্রেকার উল্টে যাত্রীর মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ট্রেকার উল্টে মৃত্যু হল এক যাত্রীর। শুক্রবার দুপুরে জামবনির পড়িহাটিতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। দুর্ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী অল্পবিস্তর জখম হন। তাঁদের মধ্যে এক মহিলা-সহ ৩ জনকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঝাড়গ্রাম-পড়িহাটি রুটের ওই ট্রেকারটিতে জনা দশেক যাত্রী ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, পড়িহাটির আগে কাপগাড়ি এলাকায় ব্যক্তিগত প্রয়োজনে চালক নেমে গিয়েছিলেন। ট্রেকারটি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন খালাসি। ছোটপোলের কাছে ট্রেকারটির সামনে একটি গরু চলে আসায় বিপত্তি ঘটে। এ দিন দুর্ঘটনার জেরে অন্য একটি ট্রেকারে ভাঙচুর করে জনতা। এরপরই ওই রুটে ট্রেকার চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
|
ফুটবল টুর্নামেন্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
|
—নিজস্ব চিত্র |
রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করল হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন। শুক্রবার এক দিনের এই আমন্ত্রণমূলক ফুটবল টুর্নামেন্টে যোগ দেয় হলদিয়া মহকুমার ৮টি স্কুলের ছাত্ররা। উদ্বোধন করেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার সমরেশ চৌধুরী। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভলিবল খেলোয়াড় তরুণ বেরা প্রমুখ। |
|