|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা |
নিবারণ দত্ত রোড |
দুর্গম যাত্রা |
দেবাশিস দাস |
এই রাস্তায় বড় দুর্ঘটনা না ঘটলে প্রশাসন বা পূর্ত দফতরের টনক নড়বে না। দক্ষিণ শহরতলির ব্যস্ত এলাকা আমতলার সঙ্গে বজবজ, মহেশতলা এবং বাখরাহাটের যোগাযোগ রক্ষাকারী রাস্তা নিবারণ দত্ত রোড সম্পর্কে এমনটাই মনে করেন এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা।
তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তাটি বেহাল হয়ে রয়েছে। বর্ষায় রাস্তাটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে রাস্তা সারাইয়ের আবেদন জানিয়েও সাড়া মেলেনি। বাসিন্দা বিপিন রায়ের কথায়: “রাস্তার যা হাল হয়ে রয়েছে, যে কোনও সময় যাত্রিবাহী যানবাহন উল্টে গিয়ে বিপর্যয়
ঘটতে পারে। রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে আছে কয়েক বছর ধরে। কেউ সারানোর ব্যবস্থা করেনি।” |
|
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাস্তার পাশে একাধিক প্রাথমিক স্কুল, একটি কলেজ ও একাধিক হাইস্কুল রয়েছে। সপ্তাহের ব্যস্ত দিনগুলিতে কয়েকশো পড়ুয়া এই রাস্তায় যাতায়াত করে। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার বড়কাছারির পুণ্যার্থীদের একটা বড় অংশ এই রাস্তা ব্যবহার করেন। মামুদপুর, কন্যানগর, নিমতলা, মৌখালি, বিদ্যানগর, বিবিরহাটের বাসিন্দারাও এই রাস্তায় নিয়মিত যাতায়াত করেন। কয়েকটি বেসরকারি রুটের বাস এবং কয়েকশো অটো ও ট্রেকারও চলে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের আবু তাহের সর্দার বলেন, “পুজোর আগেই ওই রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হবে।” তবে রাস্তাটি পূর্ত দফতরের আওতায় রয়েছে। সারাইয়ের আশ্বাস মিললেও, কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত বাসিন্দারা সেই ভরসায় আস্থা রাখতে পারছেন না।
আমতলা মোড় (ডায়মন্ড হারবার রোড) এবং নিবারণ দত্ত রোডের সংযোগস্থল নিয়েও বাসিন্দাদের অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য: নিবারণ দত্ত রোডের ঢোকার মুখটি অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ। এই জায়গায় রাস্তার দু’পাশে দোকান নেমে এসেছে রাস্তায়। অনিয়ন্ত্রিত অটো এবং অন্যান্য যানবাহনের জন্য এই অংশে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। |
|
রাস্তার এই দুর্দশার জন্য এলাকায় অপরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি তৃণমূলের শামিমা শেখ। তাঁর কথায়: “এই এলাকায় কোনও পরিকল্পনা না করেই অনেকে বসতবাড়ি বানিয়েছেন। রাস্তার দু’পাশে জল সরার কোনও ব্যবস্থা করা যায়নি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। আর সেই জলেই বার বার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই রাস্তা ঠিক রাখতে জনগণের একটু সচেতনতাও দরকার।”
নিবারণ দত্ত রোড দেখভালের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের সাউথ সাবার্বান বিভাগের। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার বিষ্ণু বক্সী বলেন, “নিবারণ দত্ত রোডের সমস্যা আমাদের নজরে এসেছে। খুব শীঘ্রই ওই রাস্তার বিভিন্ন খারাপ অংশ সারানোর কাজ শুরু হবে।”
|
ছবি: পিন্টু মণ্ডল |
|
|
|
|
|