|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা |
বেহাল ট্রামলাইন |
সুদিন আসবে কবে |
দীক্ষা ভুঁইয়া |
কোথাও পিচ উঠে এবড়োখেবড়ো। কোথাও ইট উপড়ে গিয়ে মাঝখান থেকেই বেরিয়ে পড়েছে ট্রামলাইন। কোথাও আবার ট্রাম ও বাস চলাচলের রাস্তা একই হওয়ায় ট্রামলাইন ঢাকা পড়েছে ধুলোয়। শহর জুড়ে সমস্ত ট্রামলাইন সংস্কার হওয়ার কথা থাকলেও শহরের বেশ কিছু রুটে এখনও তার এমনই বেহাল দশা।
গোটা কলকাতায় বিভিন্ন রুটের ট্রামলাইন নতুন করে সারানো শুরু হয়েছিল ২০০৬-এ। বেশ কিছু জায়গায় লাইন সারানোর পরে ট্রাম চালুও হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু লাইনে এখনও ট্রাম চলাচল বন্ধ। অথচ যে কয়েকটি রুটে লাইনের অবস্থা সব থেকে খারাপ, সেখানে বরাবরই ট্রাম চলছে। যেমন, শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা থেকে খিদিরপুরগামী লাইনের মধ্যে খিদিরপুর ব্রিজ পর্যন্ত অংশ। এখানে লাইন এখনও আগের মতো বেহাল। পার্ক সার্কাস-ধর্মতলা রুটের ইলিয়ট রোড থেকে ওয়েলিংটন এবং সূর্য সেন স্ট্রিটের বেশ কিছু অংশের অবস্থাও তথৈবচ।
|
|
ক্যালকাটা ট্রাম কোম্পানি (সিটিসি) সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের যে ক’টি লাইন নতুন করে সারিয়ে তোলা হয়েছে, তার সব খরচই বহন করেছে রাজ্য সরকার। পুরনো লাইনগুলি তুলে নতুন করে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে ট্রামলাইন বসানোর ভার দেওয়া হয়েছিল এইচআরবিসি-কে। পরবর্তী কালে টাকাপয়সার অভাবে বাকি লাইনগুলি আর মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
ধমর্তলায় রানি রাসমণি রোড হয়ে গড়ের মাঠ ধরে ট্রামলাইনে ঘাসের জঙ্গল। একটু বৃষ্টি হলেই লাইনে জল জমে যায়। এখানে লাইন এখনও কংক্রিট করা হয়নি। একই হাল রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড এবং ইলিয়ট রোডের লাইনের। এখানে আবার ট্রামরাস্তার উপরের পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় ইট উপড়ে এসেছে। এই রুটে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় অন্যান্য গাড়ি চলাচল করলে। রাস্তার দু’ধারে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে ভাঙাচোরা ট্রামলাইনের উপর দিয়ে বা ট্রামের পাশ দিয়েই বিপজ্জনক ভাবে অন্য গাড়িগুলিকে যাতায়াত করতে হয়।
অথচ শহরের অন্যান্য জায়গায় ট্রামলাইন সংস্কারের পরে রাস্তা আর ট্রামলাইনের উচ্চতায় কোনও ফারাক রাখা হয়নি। ফলে অন্য গাড়ি সহজেই লাইনের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারে।
|
|
এ ভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা কয়েকটি লাইন সারানো হয়নি কেন?
এইচআরবিসি-র তরফে সাধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের যে ক’টি রুটের লাইন সারাতে বলা হয়েছিল, আমরা সবগুলোই সারিয়ে দিয়েছি। রাজ্য পরিবহণ দফতর আমাদের এই কাজের ভার দিয়েছিল। যে সব রুটে কাজ হয়নি, সেখানে কেন হয়নি, তা তারাই বলতে পারবে।”
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “পদ্ধতিগত কিছু সমস্যার জন্য কাজ আটকে থাকলেও খুব শীঘ্রই কী করা যায় আমরা দেখছি।”
|
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
|
|
|