ডামাডোল চলছেই বাংলা ‘এ’ দল নিয়ে। প্রাথমিক তালিকায় ৮২ জন ক্রিকেটারের নাম রাখা নিয়ে একপ্রস্থ বিতর্ক আগেই বেধে গিয়েছিল। শুক্রবার তাতে আবার নতুন মশলা যোগ হল। প্রাথমিক তালিকা থেকে কাটছাঁট করে তিরিশ জন ক্রিকেটারের চূড়ান্ত তালিকা বার করে ফেলল সিএবি, আর সেটা করা হল নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই! এমনকী চূড়ান্ত তালিকায় থাকা ক্রিকেটাররা এ দিন সিএবি-র ইন্ডোরে অনুশীলনও চালু করে দিলেন! অথচ পুরো ব্যাপারটা নিয়েই নির্বাচকরা অন্ধকারে।
বাংলার এক নির্বাচক এ দিন জানালেন, চূড়ান্ত দল নির্বাচন নিয়ে সিএবি-র যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা হয়েছিল। সুজনই এই মুহূর্তে সিনিয়র ক্রিকেটের দায়িত্বে। চূড়ান্ত দল কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে তাঁকে মতামত জানিয়েছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের না জানিয়েই তালিকা বেরিয়ে যায়। তালিকায় নির্বাচকদের বাছাই করা ক্রিকেটাররা আছেন ঠিকই, কিন্তু এ ভাবে তাঁদের অন্ধকারে রেখে তালিকা বার করা নিয়ে নির্বাচকরা যথেষ্ট বিরক্ত। ঠিক কবে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তা নিয়েও ধন্ধে তাঁরা।
বাংলার অনূর্ধ্ব ২৫ দল নির্বাচন শুরুই হয়েছিল বিতর্ক দিয়ে। প্রাথমিক তালিকায় ৮২ জন ক্রিকেটারের নাম রাখা নিয়ে সমালোচনা তো ছিলই। পাশাপাশি আবার তালিকায় নাম থাকা অন্তত তিরিশ জন ক্রিকেটারের বয়স ছিল পঁচিশের বেশি। সুজন তখন জানিয়েছিলেন, নতুন নিয়মে ‘এ’ দলে যে অনূর্ধ্ব ২৫ ক্রিকেটারদের রাখতে হবে, তা সিএবি-র কাছে পরিষ্কার করে জানায়নি বোর্ড। কিন্তু তখনই সিএবি-র একটি প্রভাবশালী মহল থেকে সিনিয়র ক্রিকেটের দায়িত্ব থেকে সুজনকে সরানোর দাবি উঠেছিল। আজকের পর যা আরও জোরালো হল। সুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তিনি ফোন ধরলেন না। সিএবি-র অন্য যুগ্ম-সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “আমি সিনিয়র ক্রিকেটের দায়িত্বে নেই। এই নিয়ে আমার কিছু বলা ঠিক হবে না।”
এ দিকে, সোমবারই ঠিক হয়ে যেতে পারে বাংলার নতুন নির্বাচনী প্যানেল। প্রধান নির্বাচক হিসেবে দীপ দাশগুপ্তই সম্ভবত থেকে যাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে নির্বাচক হিসেবে উঠে এসেছে তিনটে নাম। বাংলার প্রাক্তন নির্বাচক এবং বোর্ডের প্রাক্তন ম্যাচ রেফারি ইন্দুভূষণ রায়, অলোক ভট্টাচার্য এবং রাজীব শেঠ। সিএবি এমন নির্বাচকদের চাইছে যাঁরা ক্লাব ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত নন। সেই বিচারেই এই তিন জনের নাম বিবেচনায় রয়েছে। |