নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ব্লকের উন্নয়ন সংক্রান্ত সর্বদলীয় বৈঠকে এলেন না ‘শাসক’ তৃণমূলেরই প্রতিনিধি। এ ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার। বৃহস্পতিবার দুপুরে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন পিংলার বিডিও সুতপা নস্কর। সিপিএম, কংগ্রেস সহ অনান্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সময় মতো এলেও বৈঠকে গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গৌতম জানা। এ নিয়ে দলের অন্দরেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিডিও বলেন, “উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা করতেই বৈঠক ডেকেছিলাম। সেখানে সকলে উপস্থিত থাকলে ভাল হত।”
অসন্তোষ অবশ্য দেখা দিয়েছে দলের অন্দরেই। তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি গৌর ঘড়াই বলেন,“ মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন দ্রুত গতিতে উন্নয়ন হোক। সেখানে উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে একমাত্র আমাদের দলেরই প্রতিনিধির গরহাজির থাকাটা অনভিপ্রেত। আমার ধারণা, ইচ্ছাকৃত ভাবেই বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।” বর্তমান ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে প্রাক্তন ব্লক সভাপতির এই অভিযোগ নিয়ে আবার দলের মধ্যে নতুন করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সামনে আসছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন,“ আমি ওই দিন আদালতে গিয়েছিলাম। একটি মামলার দিন ছিল। তাই বৈঠকে যেতে পারিনি। এখানে ইচ্ছাকৃত ভাবে বৈঠকে না- যাওয়ার বিষয়টি আসছে কী করে?” তাঁর বক্তব্য,“ বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। মঙ্গলবার বৈঠকের চিঠি পেয়েছিলাম। আগে নিয়মিত সর্বদলীয় বৈঠক হত। কয়েক মাস তা হচ্ছিল না। আমরা এ নিয়ে দলীয় ভাবেও বিডিও’র সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই দিন দুপুর ২ টোয় বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। তৃণমূলের প্রতিনিধি আসবেন, এই ভেবে বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করা হয়। শেষমেশ ৩ টে নাগাদ বৈঠক শুরু হয়। এমন বৈঠকে মূলত ব্লকে কী কী প্রকল্পের কাজ চলছে, কী কী হবে, কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে কি না, এ সব নিয়েই আলোচনা হয়। প্রশাসন প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে সহযোগিতা চায়। আবার প্রতিনিধিরাও তাঁদের পরামর্শ দিতে পারেন। বৈঠকে কেউ অনুপস্থিত থাকলে কী কোনও সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়? বিডিও বলেন,“ সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয় না। তবে সকলে উপস্থিত থাকলেই ভাল হয়। সে ক্ষেত্রে সকলের মতামতই জানা যায়।” এ ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বও। যদিও দলীয় নেতৃত্ব সে কথা মানতে নারাজ। |