ঝাড়খণ্ড সরকারের তৈরি খুনের তালিকায় চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী রাঁচি। রাজ্য পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের ২৪ টি জেলায় খুন হয়েছে মোট ১০৫৫ জন। এর মধ্যে রাজধানী রাঁচি জেলায় খুনের সংখ্যা ১০০। তালিকার দু’নম্বরে রয়েছে মাওবাদী অধ্যুষিত গুমলা জেলা। সেখানে বছরের প্রথম ছ’মাসে খুন হয়েছে ৮৪ জন। তৃতীয় স্থানে কয়লানগরী ধানবাদ। সরকারি হিসেবে জুন মাস পর্যন্ত ধানবাদ জেলায় খুনের সংখ্যা ৬৮।
|
মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা |
রাজ্যে অপরাধ সংক্রান্ত পুলিশের এই পরিসংখানে হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন শ্রেণি বিন্যাসও করা রয়েছে। খুনের মূল কারণ ধরে হত্যাকাণ্ডকে আলাদা আলাদা শিরোনামে দেখানো হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ খুনের পাশাপাশি জঙ্গিদের হাতেও প্রতি মাসেই খুন হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। এ ছাড়াও রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ডাইনি অপবাদ দিয়ে মাঝে মধ্যেই খুনের ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি, পণের দাবিতে বধূ হত্যার ঘটনাও রীতিমতো উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা।
এই পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে মাওবাদী জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন ৪৪ জন গ্রামবাসী। উগ্রপন্থী সংগঠনের আক্রমণে সব চেয়ে বেশি সাধারণ মানুষ খুন হয়েছেন রাঁচি সংলগ্ন খুঁটি জেলায়। পুলিশের হিসেবে, জুন মাস পর্যন্ত নকশালদের হাতে খুঁটি জেলায় খুন হয়েছেন ১৮ জন। জঙ্গি হামলায় গ্রামবাসী খুনের ঘটনা নথিভুক্ত রয়েছে রাঁচি, লাতেহার, সিমডেগা, ধানবাদ, চাতরা, পশ্চিম সিংভূম জেলা-সহ ছোটনাগপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে।
রাজ্য পুলিশের হিসেব অনুযায়ী জুন মাস অবধি ঝাড়খণ্ডে ডাইনি অপবাদে ২২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর শীর্ষে রয়েছে গুমলা জেলা। চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে ডাইনি অপবাদে গুমলা জেলায় খুন করা হয়েছে ১০ জনকে। এই ধরনের খুনের ঘটনা ঘটেছে রাঁচি, খুঁটি, পলামু ছাড়াও সাঁওতাল পরগনার দুমকা এবং পাকুড় জেলায়ও। রাজ্য পুলিশের হিসেবে, পণের দাবিতে গৃহবধূ হত্যার ঘটনাও উদ্বেগজনক। চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে পণের দাবিতে খুন হয়েছেন ১৫৮ জন গৃহবধু। বধূ হত্যার তালিকায় শীর্ষে ধানবাদ জেলা। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত পণের দাবিতে ধানবাদে খুন হয়েছেন ৩০ জন গৃহবধূ। |