অবশেষে সাজা পেলেন কমলাকর জামসন্দেকর হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত, প্রাক্তন বিধায়ক অরুণ গাওলি। আজ মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ দমন আদালত (মকোকা) গাওলিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। একই সঙ্গে তাঁকে তোলা আদায় এবং সংগঠিত ভাবে অপরাধ করার দায়ে আরও দশ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়াও ১৭ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। যা অনাদায়ে অতিরিক্ত তিন বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করেছে মকোকা।
২০০৮ সালের মার্চ মাসে মুম্বইয়ের শহরতলি ঘাটকোপারে তাঁর নিজের বাড়িতেই গুলি করে হত্যা করা হয় শিবসেনা পুরপিতা কমলাকরকে। পুলিশ সে বছরেরই মে মাসে গ্রেফতার করে অরুণ গাওলি-সহ আরও এগারো জনকে। তার পর থেকে দু’বছর যাবৎ পুলিশি হেফাজতেই ছিলেন গাওলি। ২০১০ সালের অক্টোবরে আদালত গাওলি-সহ এগারো জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করে। |
জেলের পথে গাওলি। ছবি: পিটিআই |
প্রায় দু’বছর শুনানি চলার পরে অবশেষে শুক্রবার রায় ঘোষণা করল মকোকা। যাতে গাওলি ছাড়াও দশ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সুনীল ঘাটে নামে অপর এক অভিযুক্তকে শুধু তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে মকোকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে অখিল ভারতীয় সেনার সদস্য গাওলির সঙ্গে অতীতে অপরাধ জগতের বেশ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত পঞ্চাশটি মামলা রয়েছে পুলিশের খাতায়। কিন্তু কমলাকর-হত্যার মামলাতেই প্রথম দোষী সাব্যস্ত হলেন গাওলি। সরকারি পক্ষের আইনজীবী জানান, তিরিশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কমলাকরকে হত্যা করেন গাওলি। পুলিশ সূত্রে খবর, সাহেবরাও ভিনতাড়ে এবং বালা সার্ভে নামে কমলাকরের দুই ‘শত্রু’ই গাওলিকে ওই টাকা দিয়েছিল। কমলাকরের নির্মাণ ব্যবসায়ে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ভিনতাড়ে এবং সার্ভে। পুলিশের ধারণা, ব্যবসায়িক শত্রুতা থেকেই কমলাকরকে হত্যার ‘কনট্র্যাক্ট’ গাওলিকে দেয় তারা। |