স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন ২৫ বছরের ভিমাইয়া রাইখান। ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ইম্ফলের রিম্স হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে। সেখানেই পেট ব্যাথা শুরু হয় তাঁর। আজ সকালে এক মৃত সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ইতিমধ্যেই স্বামীর শাস্তি চেয়ে নারী সংগঠনগুলি বিক্ষোভ শুরু করেছে। কিন্তু ‘অভিযুক্ত’ স্বামী এল নিংপামসাং হাসপাতালে স্ত্রীর পাশ ছেড়ে যে নড়ছেনই না। ভিমাইয়ার পরিস্থিতি দেখে, পুলিশও জোর করে তাঁকে গ্রেফতার করতে ভরসা পাচ্ছে না।
ঘটনার শুরু গত শনিবার। ভিমাইয়ার মা খাথিংলা জানান, নিয়মিত মদ খেয়ে জামাই মেয়েকে মারধর করত। দুই সন্তানের জননী ভিমাইয়া যে ফের গর্ভবতী, তাও বাবা-মা জানতেন না। শনিবার রাতে ফের দু’জনে ঝগড়া হয়। মায়ের দাবি, জামাইয়ের সামনেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগায় মেয়ে। কিন্তু জামাই তাকে সময়মতো বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। জামাই নিংপামসং অবশ্য এই পরিস্থিতিতে পালিয়ে যাননি। তিনিও উখরুল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে এসেছেন হাসপাতালে। সারাক্ষণ স্ত্রীর পাশেই বসে থাকছেন। তাঁর বক্তব্য, “মদের ঘোরে কী হয়েছিল মনে নেই। ঝগড়া করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ছেলের ডাকে জেগে দেখি বউ জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে ওকে কম্বলে জড়িয়ে আগুন নেভাই। আমি ইচ্ছা করে কিছু করিনি।” তবে এই সাফাই মানতে রাজি নন নারী সংগঠনগুলি। তাঁরা অবিলম্বে নিংপামসং-এর গ্রেফতারির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। হাসপাতালে ভিমাইয়ার জবানবন্দিও রেকর্ড করেছে ‘উওমেন অ্যাকশন ফর ডেভেলপমেন্ট’।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিংপামসংকে ধরতে উখরুল জেলা পুলিশের একটি দল ইম্ফলে আসছে। |