কোথাও পিচের চাদর উঠে গিয়েছে। কোথাও তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। কোচবিহার শহর ও লাগোয়া এলাকায় বেশিরভাগ রাস্তার ওই হাল। তা নিয়ে পুজোর মুখে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, বেশিরভাগ রাস্তাই চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায়, কুমোরটুলি থেকে বেহাল রাস্তা দিয়ে কি করে মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন উদ্যোক্তারা। এ ছাড়াও পুজোর ভিড়ে দর্শনার্থীদের চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন তারা। কোচবিহারের সদর মহকুমাশাসক সুপর্ণ কুমার রায়চৌধুরী বলেন, “ওই সব রাস্তা সারানোর ব্যপারে পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোচবিহার শহরের প্রাণনারায়ণ রোড, শিবেন্দ্রনারায়ণ রোড, রাজ রাজেন্দ্র নারায়ণ রোড, পূর্ণলক্ষ্মী দেবী রোডের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। কোচবিহার স্টেশন মোড় থেকে দিনহাটাগামী রাস্তাও বিক্ষিপ্ত ভাবে খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। চাকির মোড় থেকে হরিণ চওড়া পর্যন্ত রাস্তায় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জল জমে যাচ্ছে। আবার চড়া রোদে ধূলোয় নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দারা। কোচবিহার শহর থেকে তুফানগঞ্জগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের একই অবস্থা। এ ছাড়াও কোচবিহার শহর ও লাগোয়া এলাকায় কামেশ্বরী রোড, বিশ্বসিংহ রোড, সিলভার জুবিলি রোড, ব্যাঙ্কচাতরা রোড, কালিকাদাস রোড, স্টেশন রোড, কালিঘাট রোডের অবস্থা খারাপ। শক্তিসংঘ পুজো কমিটির এক কর্তা সুজিত দে ভৌমিক বলেন, “রাস্তার যা অবস্থা তাতে ভিড়ের সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। মণ্ডপের প্রতিমা আনা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছি। ভাঙা রাস্তা দিয়ে প্রতিমা আনার সময় গাড়ি উল্টে গেলে বড় সমস্যা হবে। আমরা অতি সাবধানতার সঙ্গেই যাতায়াত করার পরামর্শ দেব সকলকে।” পুরাতন পোস্টাপিস পাড়া পুজো কমিটির এক কর্মকর্তা রাকেশ চৌধুরী, ভেনাস স্কোয়ার পুজো কমিটির সদস্য সুশান্ত দেবরাও একই কারণে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন। রাকেশবাবু বলেন, “এমনিতেই দুর্ঘটনা হচ্ছে। পুজোর রাতে ভিড় বাড়লে সমস্যা হবে। আমরা বহহুদিন থেকে রাস্তা সারাইয়ের দাবি করে আসছি। পুজোর আগে রাস্তা সংস্কার না হলে সমস্যা হবে। দুর্ঘটনা ঘটলে পুজোর আনন্দ থাকবে না। তা ভেবে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” |