আম বাগান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মালদহের কালিয়াচক থানার ব্রহ্মোত্তর চামাগ্রাম এলাকায় বুধবার ওই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ১২টি মদের বোতল ছাড়াও কিশোরীর অন্তর্বাস ও ওড়না উদ্ধার হয়েছে। গাছে শাড়ির ফাঁসে ঝুলন্ত কিশোরীর দুই হাঁটু মাটি ছুঁয়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের সন্দেহ, কিশোরীকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, কিশোরীর আনুমানিক বয়স ১৭ বছর। তাঁকে ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “কিশোরীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা এখনই বলা সম্ভব নয়। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে সমস্ত বিষয় স্পষ্ট হবে।” ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ৫০০ মিটার দূরে ওই আমবাগানে এ দিন ঝুলন্ত কিশোরীর দেহ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পরে কালিয়াচক থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আম বাগান ঘেরা এলাকাটি দীর্ঘদিন থেকে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। সন্ধ্যের পরে দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। রাতভর চলে ‘ফুর্তি’। সব দেখেও ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। এর আগেও কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগও করেছেন বাসিন্দারা। ভয়ে স্থানীয় লোকজন সন্ধ্যার পরে আমবাগানের পাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সাহস পান না। প্রায়ই সেখানে গোলমালের শব্দ শোনা যায়। সোমবার রাতেও চিৎকারের শব্দ শুনতে পান বাসিন্দারা। কিন্তু রাতে ভয়ে কেউ সেখানে যাননি। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “এর আগেও ওই এলাকায় একাধিক অপরাধের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে। ওই কিশোরীকে বাইরে থেকে এনে সারা রাত ফুর্তি করার পরে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” স্থানীয় বাসিন্দার মনে করছেন এই ঘটনার পরে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মফিজুল হক বলেন, “ঘটনাস্থলের পরিবেশ থেকে কিশোরীকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের পুলিশ খুঁজে বার করে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে সমস্যা বাড়বে।” |