|
|
|
|
নদিয়ার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটনে জোর মমতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
একাধিক প্রকল্প ঘোষণার মাধ্যমে নদিয়ার মানুষের কাছে আবার কল্পতরু হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ভলভো বাসে করে মিনি মহকরণই যেন তিনি তুলে নিয়ে এসেছিলেন নদিয়ায়। সকালে জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে টানা দু’ঘন্টা বৈঠকের পরে কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে নদিয়ার উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই মঞ্চ থেকে আমরা বিভিন্ন পরিষেবা বিতরণ করছি। শুধু তাই নয়, এই জেলায় ১০৮ টি পানীয় জলের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৪৬ কোটি টাকা। নদিয়ায় আর্সেনিকের সমস্যা রয়েছে, সেই কারণেই এই উদ্যোগ। আজই তার মধ্যে ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হল।” তিনি বলেন, “নদিয়াতে সাতটি আইটিআই রয়েছে। তেহট্ট, নাকাশিপাড়ায় কাজ চলছে। এরপর প্রতিটি ব্লকে একটি করে তৈরি করা হবে। দুটো পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে। আজ আরও একটির উদ্বোধন হল।” এদিন তিনি জানান, প্রতিটি ব্লকে একটি করে কোল্ড স্টোরেজ ও বিপণন কেন্দ্র হবে। জেলায় একটি ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাব হবে। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে একটি এসএনসিইউ, ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তেহট্টে একটি মর্গ, ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তেহট্ট ও রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালকে আরও উন্নত করা হবে। একই সঙ্গে নবদ্বীপ, চাকদহ ও শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে ৭ লক্ষ টাকা করে ব্যয়ে আরও উন্নত করা হবে। পলাশিপাড়া, বিষ্ণুপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে ২৫ লক্ষ টাকা করে, ভালুকা ও বেলপুকুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ২০ লক্ষ টাকা করে দিয়ে আরও উন্নত করা হবে।’’ পাশাপাশি শিশুদের চিকিৎসার জন্য জেলায় মোট ১৫টি এসএনসিইউ তৈরি হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু উন্নয়নের জন্য এই জেলাকে ৬৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ৯৪৭৫ জনকে স্বনির্ভরগোষ্ঠীর মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্র সরকার স্বনির্ভরগোষ্ঠীদের ২০ শতাংশ ঋণ মুকুব করত আমরা সেটা বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে দিয়েছি। আনন্দধারা ও স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যরা যাতে ব্যবসা করে যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন সেই কারণেই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
এদিন তিনি বলেন, “জেলার ৪৬ জন ছাত্রকে উচ্চ শিক্ষার জন্য ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৯৬ জন ছাত্রকে ১৫ কোটি টাকা ভাতা দেওয়া হয়েছে। গত বছর চারটি মাধ্যমিক স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা হয়েছিল। এবার ২৫ টি মাধ্যমিক স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা হবে। গতবার ৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছিল। আরও ১৮টি তৈরি করা হবে। কলেজটি আরও বড় করা হবে জেলায় তিনটি পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট গার্লস হোস্টেল এবং কল্যাণীতে ট্রিপল আইটি হাব তৈরি করা হবে কৃষ্ণনগরেও একটি আইটি হাব তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে হরিণঘাটা ও কালীগঞ্জে বটলিং প্লান্ট তৈরি হবে.’’ মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন,‘‘ রাজ্যে ১৮ হাজার শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র আছে এটা পঞ্চায়েত দফতরের অধীনেই থাকবে তবে এদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরের অন্তর্ভূক্ত করা হবে এদের আইনি স্বীকৃতিও দেওয়া হবে পাশাপাশি নতুন করে সাত হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে সেইসঙ্গে পলাশি, নবদ্বীপ ও ফুলিয়াকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে স্বরুপগঞ্জ ও মায়াপুর ঘাটকে সংস্কার করা হবে শান্তিপুরে টেক্সটাইল হাব ও প্রতিটি ব্লকে কিষাণ বাজার ও কোল্ড স্টোরেজ তৈরি হবে।’’ |
|
|
|
|
|