ধোনি যা ধরে, সোনা হয়ে যায়!
কথাটা কি আবার ফিরে এল নাকি ক্রিকেট দুনিয়ায়?
দেখেশুনে মনে তো হচ্ছে, তা-ই। একে তো দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হেসেখেলে উড়িয়ে দেওয়ার দিকে এগোচ্ছে ধোনির ভারত। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হচ্ছে শুক্রবার। মনে হয় না এই বিশ্বে কেউ আছেন যিনি আশা করছেন নিউজিল্যান্ড বেঙ্গালুরুতে জিতবে। তার মধ্যে বুধবার চাঞ্চল্যকর ভাবে অবসর নিয়ে ফেলল অ্যান্ড্রু স্ট্রস। নভেম্বরে দেশের মাঠে ধোনিরা খেলবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। যাদের কাছে ইংল্যান্ডে ০-৪ হেরে এসেছে ওরা। আর ফিরতি সিরিজে কিনা স্ট্রস নেই। পিটারসেন নেই। এমনিতে আমি মনে করি, স্ট্রস-পিটারসেন থাকলেও ভারতের মাটিতে ভারতীয় স্পিনারদের কাছে ওরা হারতই। তবু ব্যাটিংয়ের দুই মেরুদণ্ড না থাকা মানে তো দলটা এখন একেবারে ভাঙাচোরা হয়ে গেল।
অনেকটা যেন ভিভিএস লক্ষ্মণের অবসরের মতো ঘটল স্ট্রসের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়াটা। লক্ষ্মণ যেমন নিজেকে তৈরি করছিল দেশের মাঠে টেস্ট সিরিজে খেলবে বলে, তেমনই স্ট্রস-ও তো ক’দিন আগে বলেছিল, অ্যাসেজের প্রস্তুতি নিচ্ছে। হঠাৎ তা হলে অবসর নিয়ে ফেলল কেন? |
আমার মনে হচ্ছে, আচমকা এ রকম সিদ্ধান্তের পিছনে সবথেকে বড় কারণ কেভিন পিটারসেন নিয়ে বিতর্ক। স্ট্রস খুবই ভদ্রলোক ক্রিকেটার। ও অবশ্যই বুঝতে পেরেছে, অধিনায়ক হিসেবে এটা ওর ব্যর্থতাই যে ড্রেসিংরুমকে আর ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সতীর্থ সিনিয়র প্লেয়ার আক্রমণ করছে। আগের সেই ফর্মটাও ওর সঙ্গে নেই। এর পর দলে থেকে যাওয়া মানে সম্মান বিসর্জন দিয়ে থাকা। তার উপর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে নিজেদের দেশে সিরিজ হেরে টেস্টের এক নম্বর র্যাঙ্কিংটাও হারাল ইংল্যান্ড। তাই স্ট্রসের হয়তো মনে হয়েছে, আমার সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আমি এটাও বলতে চাই যে, আমাদের দেশেই এ সব সিদ্ধান্ত নিয়ে এত হইচই হয়। বিদেশে ফর্মের চূড়োয় থাকতে থাকতে সরে যাওয়ার উদাহরণ তো অনেক। এই স্ট্রসকে এক দিন জায়গা করে দেওয়ার জন্যই তো নাসের হুসেন ৯৬ টেস্ট খেলে সরে গিয়েছিল। আমাদের দেশে ১০০ টেস্টের মুখে কেউ খেলা ছেড়ে দিচ্ছে ভাবাই যায় না। তা-ও কী? না, ৯৬তম টেস্টে নাসের সেঞ্চুরি করেছিল! |