ধোঁয়া, বেলদায় ২ ঘণ্টা থমকে পুরী প্যাসেঞ্জার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আপ পুরী প্যাসেঞ্জারের অসংরক্ষিত একটি কামরায় ধোঁয়া দেখা দেওয়ায় বিঘ্নিত হল ট্রেন চলাচল। বুধবার ভোরে প্রায় দু’ঘণ্টা বেলদা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে পুরী প্যাসেঞ্জার। তবে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। শেষে দু’টি কামরাকে আলাদা করে দেওয়া হয়। ওই কামরা দু’টিকে বেলদা স্টেশনে রেখেই ট্রেনটি পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার বলেন, “একটি কামরার জংশন বক্স থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছিল। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” রেল কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট-সার্কিট থেকেই এমনটা হয়েছে। যাত্রীরা অনেক সময়ই খাবারের প্যাকেট, শালপাতার ঠোঙা না ফেলে দিয়ে জংশন বক্সে ঢুকিয়ে দেন। শর্ট-সার্কিট থেকে আগুন লেগে তেমনই কিছু পুড়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল বলে মনে করা হয়েছে। |
|
তখন ভোর ৬টা। বেলদা স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুরী এক্সপ্রেস। —নিজস্ব চিত্র। |
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫০-এ হাওড়া স্টেশন থেকে ছেড়ে পুরীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। এ দিন ভোর ৪ টে ১৪ নাগাদ ট্রেনটি যখন বাখরাবাদ পেরোয়, তখনই শেষ দিকের একটি অসংরক্ষিত কামরায় ধোঁয়া দেখতে পান যাত্রীরা। জংশন বক্স থেকে ওই ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। গার্ড রেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। তড়িঘড়ি ট্রেনটিকে পরবর্তী স্টেশন বেলদায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে খড়্গপুর থেকে এসে পৌঁছয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। তবে তার আগেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় ধোঁয়া বেরনো বন্ধ হয়ে যায়। প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিতে মোট ১০টি কামরা ছিল। শেষের দু’টি কামরাকে আলাদা করে দেওয়া হয়। তারপর সকাল ৬টা ৩৫ নাগাদ ট্রেনটি ফের পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয়। |
|