|
|
|
|
খড়্গপুর পুরসভা |
জেলাশাসককে রিপোর্ট সভাপতির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বুধবার পর্যন্ত পুর দফতরের কোনও নির্দেশিকা আসেনি। ফলে, খড়্গপুর পুরসভা নিয়ে জটিলতাও দূর হয়নি। পুরপ্রধান পদে না থেকেও তৃণমূলের জহরলাল পাল সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন বলে মঙ্গলবারই জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তকে অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেস। বুধবার অবশ্য জহরলালবাবু পুরসভায় আসেননি। পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলাছেন উপপুরপ্রধান তুষার চৌধুরীই। এ নিয়েও জল্পনা চলছে রেলশহরে।
বুধবার জেলাশাসকের কাছে সোমবারের বোর্ড মিটিং সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। চিত্তবাবুই বোর্ড মিটিংয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। নিয়মানুযায়ী, সভাপতি নির্বাচনের পরবর্তী কাজকর্ম তাঁরই পরিচালনা করার কথা। চিত্তবাবুর দাবি, সেই মতো তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। এই কংগ্রেস কাউন্সিলর বলেন, “বোর্ড মিটিংয়ে আমাকেই সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। ওই দিন ঠিক কী কী হয়েছে, তার একটি রিপোর্ট আগেই পুর- দফতরে পাঠিয়েছি। বুধবার জেলাশাসকের কাছেও একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছি।” সূত্রের খবর, রিপোর্টে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত ৩১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৬ জনই অনাস্থার পক্ষে ছিলেন।
তৃণমূল অবশ্য সভাপতি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের বক্তব্য, অবৈধ ভাবে সভাপতি নির্বাচন হয়েছে। মিটিংয়ে উপস্থিত পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের (ইও) কাছে এ নিয়ে নালিশও জানায় তৃণমূল। বৈধ ভাবে সভাপতি নির্বাচন হয়েছে বলে পাল্টা দাবি জানায় কংগ্রেস। ইতিমধ্যে ইও’র রিপোর্ট জমা পড়েছে জেলাশাসকের কাছে। জেলাশাসক তা পাঠিয়ে দিয়েছেন পুর-দফতরে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এরপর দফতর থেকে যে নির্দেশ আসবে, সেই মতোই পদক্ষেপ হবে। নিয়মানুযায়ী, অনাস্থা পাশ হয়ে গেলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফের পুরপ্রধান নির্বাচনের মিটিং হবে। সেই মিটিংয়ে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরের সমর্থন না পান পুরপ্রধান, তখনই নতুন পুরবোর্ড তৈরি হয়। আর এই সময়ের মধ্যে পুরসভার কাজকর্ম দেখভাল করেন উপ-পুরপ্রধান। এ দিন পুরপ্রধান দফতরে আসেননি। কাজ সামলেছেন উপ-পুরপ্রধান। তাহলে কী অনাস্থা পাশ হয়েছে বলে ধরেই নিয়েছে তৃণমূল? এ নিয়ে জল্পনা চললেও জহরলালবাবু বলেন, “আমি শহরের বাইরে ছিলাম বলে পুরসভায় যেতে পারিনি। আমরা আমাদের দাবি থেকে সরছি না। পুর-দফতর যা নির্দেশ দেবে, সেই মতোই সব হবে।” অন্য দিকে, উপ-পুরপ্রধান তুষার চৌধুরীর বক্তব্য, “পুরপ্রধান না এলে যে ভাবে আমাকে দফতর চালাতে হয়, এ দিন সে ভাবেই কাজ চালিয়েছি।” |
|
|
|
|
|