একটি গাড়ি, কর্মীও কম জেরবার সমবায় দফতর
কটি মাত্র জিপ। তা-ও বহু পুরনো। যাতায়াতের জন্য সেটিই ভরসা। আর এই জিপ সচল রাখা আর হাতি পোষা একই! ১ লিটার পেট্রোলে বড়জোর ৫ কিলোমিটার যায়। বাধ্য হয়েই গাড়ি ভাড়া নিতে হয়। সঙ্গে রয়েছে কর্মী-সঙ্কট। ডেভেলপমেন্ট অফিসারের পদ ১৪টি। তবে অফিসার রয়েছেন মাত্র ৯ জন। দফতরের অন্য পদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। স্বভাবতই সঙ্কটে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সমবায় দফতর। সমস্যার কথা লিখিত ভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পাল্টায়নি।
রাজ্যের নতুন সরকার সমবায়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় নতুন করে সমবায় ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মেদিনীপুরেও এই কাজ চলছে। তবে দফতরের অভ্যন্তরের পরিকাঠামো সে ভাবে ঢেলে সাজার উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের এআরসিএস মদনমোহন ঘোষ বলেন, “সমস্যার কথা লিখিত ভাবেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” সব দিক খতিয়ে দেখে এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলেই আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
কাজের জন্য দফতরের আধিকারিকদের মাঝেমধ্যেই এখানে-সেখানে যেতে হয়। গাড়ি না থাকায় সমস্যা বাড়ে। এখন যে জিপটি রয়েছে, সেটি সম্ভবত ১৯৭৩ সালে কেনা। ডিজেল নয়, চলে পেট্রোলে। ফলে খরচও বেশি। ইঞ্জিন মাঝেমধ্যেই মেরামত করতে হয়। দফতরের এক আধিকারিকের মন্তব্য, “গাড়িটি কোনও ভাবে সচল রাখা হয়েছে। এর ফলে খরচও বেশি হচ্ছে। শহরে কাজ থাকলে এই গাড়ি নিয়েই যাতায়াত করতে হয়। বাইরে কাজ থাকলে তখন গাড়ি ভাড়া করতে হয়।” চাইলেই গাড়ি ভাড়া করা যায় না। কারণ, জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মাসে বড়জোর ৮ দিন গাড়ি ভাড়া করা যেতে পারে। তার বেশি নয়। ফলে, এ ক্ষেত্রেও দফতরের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে কর্মী সঙ্কট।
জানা গিয়েছে, দফতরের ইন্সপেক্টর পদের সংখ্যা ৩৭টি। সেখানে রয়েছেন ২২ জন। অর্থাৎ, ১৫টি পদ শূন্য। লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের পদ ৫টি। রয়েছেন ৩ জন। ডেভেলপমেন্ট অফিসারের পদ ১৪টি। রয়েছেন ৯ জন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন মাত্র ১০ জন। অথচ এ ক্ষেত্রে অনুমোদিত পদ ৪৭টি। অর্থাৎ, ৩৪টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। এখন মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর সরণিতে একটি ভাড়া বাড়িতে সমবায় দফতরের কাজকর্ম চলে। এখানেই রয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটির (এআরসিএস) কার্যালয়। নানা জায়গায় সমবায় সংক্রান্ত নানা দফতর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় কাজে নিয়ে আসা মানুষজনও সমস্যায় পড়েন। মাস দেড়েক আগে অবশ্য নতুন সমবায় ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এখানে সমবায় সংক্রান্ত সব ক’টি দফতর থাকবে। যেমন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিষ্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটির (এআরসিএস) কার্যালয়, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অফ কো-অপারেটিভ অডিটর (এডিসিএ) কার্যালয়, হাউসিং ফেডারেশন, বেনফেডের কার্যালয়। ৪ তলা ভবন তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। এক বছরের মধ্যেই এ কাজ শেষ হয়ে যাবে। সঙ্গে পরিকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “সমস্যার কথা লিখিত ভাবে সমবায় মন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার আশ্বাস মিলেছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.