তিনটি রেসিডেন্সিয়াল হাতির লড়াই বাধল আমলাগোড়ার মাগুরাশোল জঙ্গলে। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কও ছড়ায়। পশ্চিম মেদিনীপুর বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “গ্রামবাসীরাই হাতির চিৎকার শুনে বনকর্মীদের খবর দিয়েছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বনকর্মীরা। তিনটি রেসিডেনশিয়াল হাতির মধ্যে একটা গোলমাল হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”
প্রথমে বন দফতর ভেবেছিল, নিশ্চয়ই তিনটি হাতির মধ্যে একটি স্ত্রী, দু’টি পুরুষ। সঙ্গীনী নিয়ে দুই পুরুষ হাতির লড়াই আগেও নানা জায়গায় হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে বলে বনকর্মীদের ধারণা ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর এই ধারণা ভাঙে। দেখা যায়, মাগুরাশোলের জঙ্গলের তিনটি হাতিই পুরুষ। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “যে চিৎকার শোনা গিয়েছে, তাতে নিশ্চিত মাগুরাশোলের জঙ্গলে লড়াই হয়েছে। বিভিন্ন কারণে এই লড়াই হতে পারে। কখনও একটি দাঁতাল হাতি হঠাৎ রেগে যেতে পারে। তখন অন্যদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ওখানে এমনই কিছু হয়েছে।” মাগুরাশোলের জঙ্গলের কিছু দূরে বসতি এলাকাছ। মঙ্গলবার রাতে গ্রামবাসীরাই হাতিদের চিৎকার শুনতে পান। আতঙ্ক জাগে, হাতিগুলি লোকালয়ে না ঢুকে পড়ে! বনকর্মীদের খবর দেওয়া হয়। বুধবার সকালে জঙ্গলের পাশে গিয়ে রেসিডেনশিয়াল হাতির ভিডিও তোলা হয়েছে। তা দেখেই দফতরের আধিকারিকেরা নিশ্চিত হন, মাগুরাশোলের জঙ্গলে কোনও স্ত্রী হাতি নেই। এ দিকে, দলমা থেকে আসা ১০টি হাতির দল বুধবার মাগুরাশোলের জঙ্গলে ঢুকেছে। তবে রেসিডেনশিয়াল হাতিগুলো যেখানে রয়েছে, দলমার হাতির দল সেখানে নেই। অন্য এলাকায় রয়েছে। রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও বলেন, “নতুন একটি দল ওই জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।” এ বার সব মিলিয়ে দলমার ৩ টি দল পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকেছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। এই ৩টি দলে সবমিলিয়ে ৭০-৭৫ টি হাতি রয়েছে। হাতিগুলো অবশ্য দ্রুত জায়গা পাল্টাচ্ছে। |