টুকরো খবর
হাতির তাণ্ডব, ক্ষোভে অবরোধ
ছবি: শুভ্র মিত্র।
হাতির হামলায় অতিষ্ঠ বাসিন্দারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন। বুধবার সকালে বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিসের সামনের বিষ্ণুপুর-মেদিনীপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভ দেখানো হয় রেঞ্জ অফিসেও। অন্যত্র হাতি সরানোর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি তোলা হয়। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় অবরোধ তোলে। বিক্ষোভকারী সুরজিৎ লো, গুরুদাস দে’র ক্ষোভ, “মঙ্গলবার রাতে ২৫টি হাতির পাল এলাকার চরণপাড়ায় বেশ কয়েক বিঘা জমির বোরো ধান ও সব্জি খেত তছনছ করে। বন কর্মীদের ডেকেও দেখা পাওয়া যায়নি। বহু কষ্টে রোয়া ধান গেল হাতির পেটে। এবার আমরা খাবো কী?” মৌসুমী দে, ষষ্ঠী মণ্ডল জানান, সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় একটু দেরিতে চাষ করেও তাঁরা আশায় ছিলেন। কিন্তু এক রাতেই সব ওলোট-পালট হয়ে গেল। তাঁরা দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা দাবি করেছেন। বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বন বিভাগের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, “২৫টি হাতির দলটি বাঁকাদহ থেকে তাড়া খেয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। কিন্তু বাঁকুড়ার সীমান্ত গ্রাম কলাবাগানের বাসিন্দারা ‘ব্যারিকেড’ করায় হাতিরা বাঁকাদহে ফিরে এসে সব্জি খেত ও ধান জমিতে নেমে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।” সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণের টাকা সময়মতো দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। যদিও ক্ষুব্ধ চাষিদের দাবি, “ওই সামান্য ক্ষয়রাতি পেতে জুতোর শুকতলা ক্ষয়ে যাবে। এখন প্রাণ বাঁচাতে আমরা চাইছি, হাতির দলটিকে তাড়িয়ে দ্রুত চিন্তামুক্ত করুক বন দফতর।”

হনুমানের তান্ডব, বনগাঁয় জখম ১২
—নিজস্ব চিত্র।
হনুমানের বনগাঁকাণ্ড! গত ১৫ দিন ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার কেউটিপাড়া, গোবরাপুর, গাঁড়াপোতা, কুন্দিপুর প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দারা হনুমানের তান্ডবে চরম আতঙ্কে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত হনুমানের কামড়ে জখম হয়েছেন ১২ জন। এই মূলত মহিলারাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। নিয়তি দাস নামে এক মহিলা বাড়িতে বসে বিড়ি বাঁধছিলেন। হনুমান এসে তাঁর পায়ে কামড় দেয়। হনুমানের কামড়ে জখম হয়েছেন সৌমি দে নামে এক কলেজ পড়ুয়াও। তিনি বলেন, “কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। পিছন থেকে হনুমান জড়িয়ে ধরে পায়ে কামড়ে দেয়।” পুষ্পা হালদার নামে এক বৃদ্ধা হনুমানের কামড় খেয়ে ৬ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। স্থানীয় গাঁড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মধূসূদন বিশ্বাস বিষয়টি বন দফতরকে জানানোর পর বন দফতরের পক্ষ থেকে এলাকায় একটি খাঁচা আনা হয়েছে। যদিও সেই খাঁচায় ২টি কুকুর ধরা পড়লেও ‘মহিলা প্রিয়’ পবনন্দনটিকে এখনও ধরা যায়নি। জেলা বন দফতরের আধিকারিক কৌশিক সরকার জানান, হনুমানটিকে ধরার চেষ্টা চলছে।

নির্মল অভিযান নিয়ে বৈঠক পূর্বে
নির্মল ভারত অভিযান প্রকল্পে জেলার ২২৩টি পঞ্চায়েতে কঠিন বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন কেন্দ্র গড়ার সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। মঙ্গলবার জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান। তিনি আরও জানান, প্রতিটি পঞ্চায়েতকে এর জন্য ২০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্র গড়ার জন্য ২০-২২ ডেসিমেল জায়গা লাগবে। জায়গা চিহ্নিত করে পঞ্চায়েত ভিত্তিক তালিকা তৈরি করার জন্য ব্লকগুলিকে নির্দেশও পাঠানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ২২৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৪টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ১৯৯টি পঞ্চায়েত নির্মল গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও বাকিরা এখনও পায়নি। চলতি বছরের মধ্যে এই সব পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতগুলিকে প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণের যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সভায় গ্রামীণ পানীয় জলপ্রকল্প, জলের সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়েও আলোচনা হয়। ছিলেন সভাধিপতি গাঁধী হাজরা, সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন প্রমুখ।

জল-রোবট
দূষণে নষ্ট হচ্ছে প্রবাল প্রাচীর। তা রুখতে এ বার জলে নামবে রোবট। স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা ‘কোরালবোটস’ নামে এ রকমই এক রোবট তৈরি করছেন গবেষণাগারে।

সিংহীর মৃত্যু
সাপের কামড়ে মৃত্যু হল ১৪ বছরের সিংহীর। বন বিহার ন্যাশনাল পার্কের বাসিন্দা ওই সিংহীটিকে ২০০৬ সালে সার্কাসের তাঁবু থেকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।

বাঘ আড়ালেই
ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকায় পর্যটন বন্ধের অন্তর্বতী নির্দেশের সময়সীমা বাড়ল। ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বলবৎ থাকছে।

অপমৃত্যু
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল শঙ্করী লেট (১৬) নামে এক কিশোরীর। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মাড়গ্রাম থানার কালুহা গ্রামে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.