|
|
|
|
পরিস্থিতি অনুকূল না হলে থমকে যাবে উত্তর-পূর্বের শিল্পায়ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অবিলম্বে পরিকাঠামো উন্নয়নে মন না দিলে এবং শিল্পায়নে অবাঞ্ছিত বাধা না হঠালে, উত্তর-পূর্ব জুড়ে শিল্পবিকাশের গতি অদূর ভবিষ্যতে মুখ থুবড়ে পড়বে। উত্তর-পূর্বে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে বণিকসভা ‘ফিকি’-র রিপোর্ট এমন পূর্বাভাসই দিয়েছে। সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের হাত দিয়েই সেই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে।
ফিকির এই রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক দশকে উত্তর-পূর্বে আর্থিক বিকাশের গতি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগগুলির সৌজন্যেই এই বিকাশ। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, জমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, পরিকাঠামো, কাঁচামাল সরবরাহ এবং আরও কিছু অবাঞ্ছিত কারণের জন্য সার্বিক শিল্পায়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। উত্তর-পূর্বে শিল্পের বিকাশ পরবর্তী পর্যায়ের নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গুয়াহাটিতে আয়োজিত এক কর্মশালায় ‘ফিকি’র সভাপতি আর ভি কানোরিয়া বলেন, “উত্তর-পূর্ব যাতে কেন্দ্রের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে সঠিক পথে এগোতে পারে সেই চেষ্টা করা উচিত। সে ক্ষেত্রে আমরাও রাজ্য সরকারগুলিকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।” উত্তর-পূর্বের বর্তমান প্রজন্ম ভিন রাজ্যে নানা ধরণের কাজে যোগ দেওয়াকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেন কানোরিয়া। তাঁর মতে, “ভিন রাজ্যের সঙ্গে কর্মসূত্রে আদানপ্রদান কিংবা যোগাযোগ আসলে সুস্থ ও ইতিবাচক মনোভাবেই প্রকাশ। কিন্তু যখন রাজ্যের যুবসমাজ দলে দলে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেয় তখন তা রাজ্যের পক্ষে অশুভ।” এরই পাশাপাশি, সাম্প্রতিক আতঙ্ক ও প্ররোচনার জেরে ভিনরাজ্যে কর্মরত উত্তরপূর্বের বাসিন্দাদের পালিয়ে আসার ঘটনায় চিন্তা প্রকাশ করে ফিকিকর্তারা বলেন, এ ভাবে অপপ্রচার ছড়িয়ে কাজের পরিবেশ বিনষ্ট করা নিন্দনীয়। এক ধাক্কায় এতজনের কর্মহীন হয়ে যাওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখের। ‘ফিকি’ কর্তারা বিভিন্ন মেশিন, যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল, প্যাকেজিং করা পণ্যের উপরে প্রবেশ কর তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে জমি হস্তান্তরযোগ্য না হওয়ার কথাও কানোরিয়া বলেন। বাজার-দরে জমি কিনে শিল্প স্থাপন যে সম্ভব নয়, তা জানান শিল্পকর্তারা। |
|
|
|
|
|