মোটরবাইকের নিয়ন্ত্রণহীন দৌরাত্ম্যে লাগাম টানতে যাওয়ার মাসুল দিলেন এক কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। আইন মানা তো দূর অস্ত্, উল্টে পুলিশকেই দু’ঘা দিয়ে চম্পট দিলেন মোটরবাইক-আরোহী দুই যুবক। বুধবার আলিপুর রোডে ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ জানায়, অনুজকুমার চাকলাদার নামে ওই সার্জেন্ট টালিগঞ্জ ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ আলিপুর রোডে তিনি ডিউটি করছিলেন। অনুজবাবু হঠাৎ দেখেন, দুই যুবক হেলমেট ছাড়া মোটরবাইকে চেপে যাচ্ছেন। এর পরেই ওই যুবকদের পাকড়াও করেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, শুধু বিনা হেলমেটেই নয়, গাড়ির কাগজপত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই রাজপথে মোটরবাইক চালিয়ে ঘুরছিলেন তাঁরা। অনুজবাবুর অভিযোগ, আটকানোর পরেই ওই যুবকেরা তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য হম্বিতম্বি শুরু করে দেন। এতে কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ওই দুই যুবক বেশ কিছু লোকজনকে ডেকে আনেন এবং অনুজবাবুর উপরে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে মোটরবাইক ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেন। |
২৯ ফেব্রুয়ারি খিদিরপুরে নিয়ম ভেঙে গাড়ি চালানোর জন্য একটি গাড়িকে আটকেছিল পুলিশ। সেই গাড়িতে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর কিছু বন্ধু। অভিযোগ, গাড়ি আটকানোর জন্য আকাশের বন্ধুরা বিদ্যাসাগর ট্রাফিক গার্ডের এক ইনস্পেক্টরকে মারধর করেন। ওই পুলিশ অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়াটগঞ্জ থানা আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে। পরে তাঁরা জামিন পান।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনের ঘটনার পরে অনুজবাবু প্রথমে নিজের অফিসে ফিরে যান। বিকেল ৩টে নাগাদ দুই সহকর্মীর সঙ্গে তিনি আলিপুর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অভিযুক্তদের নাম অরুণ সিংহ ও টুন্নু মুখোপাধ্যায়। তাঁরা কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা ও মারধরের মামলা দায়ের করা হয়েছে। |