দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মূল্যায়নের দায়িত্বে থাকা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (নাক)-এর বিচারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ (এ) গ্রেড পেয়েছে। কিন্তু ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য মনে করেন, ওই সংস্থার হয়ে যাঁরা পরিদর্শনে আসেন, অনেক সময় তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকে। আইআইটি-র প্রতিনিধিদল ছাড়া অন্য কারও পক্ষে যাদবপুরের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজের মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ জে ডি বিড়লা ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে বুধবার প্রধান অতিথি ছিলেন শৌভিকবাবু। সেখানে তিনি শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিদর্শক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির মান বজায় রাখার উপরে গুরুত্ব দেন। উদাহরণ হিসেবে বলেন, “নাক-এর তরফে হয়তো এমন কেউ যাদবপুরের মূল্যায়ন করতে এলেন, যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় নিম্ন মানের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। কিংবা ব্যক্তিগত ভাবেই হয়তো তাঁর মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এমন ঘটনা দুঃখজনক।” তাঁর মতে, যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নে আইআইটি-র শিক্ষকদের রাখা দরকার। যাদবপুরেরই প্রাক্তন উপাচার্য এবং বর্তমানে রাজ্য উচ্চশিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান অভিজিৎ চক্রবর্তী তা মনে করেন না। তাঁর কথায়, “নাক-এর প্রতিনিধিদলের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না।” তাঁর মতে, নাক, এনবিএ ইত্যাদি পরিদর্শক সংস্থা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে। তাদের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণ নেই।
নাক-এর ডিরেক্টর এইচ এন রঙ্গনাথ জানান, নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে পরিদর্শকদলের সদস্য বাছাই হয়। যথেষ্ট কঠোর পদ্ধতিতে সদস্য নির্বাচন হয় বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, “সব দিক বিচার করে, যথাসাধ্য স্বচ্ছ পদ্ধতিতে সদস্য বাছাই করি। তবে একদম ঠিক পদ্ধতি বলে তো কিছু হয় না। তাই কারও কোনও পরামর্শ থাকলে তিনি তা জানাতেই পারেন।”
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা নাক-এর সাধারণ সভার সদস্য সুরঞ্জন দাস বলেন, “নাক একটি স্বীকৃত মূল্যায়ক সংস্থা। খুঁটিয়ে সব দিক বিচার করে এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে নাক-এর পরিদর্শকদলের সদস্য বাছাই করা হয়।” গোটা দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ন করে গ্রেড দেয় নাক। তাদের পরিদর্শকদলে থাকেন দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবীণ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। |