জেলাগত প্রশাসনিক পরিকাঠামো-সহ পূর্ণাঙ্গ কলকাতা ‘জেলা’ আত্মপ্রকাশ করবে সেপ্টেম্বর মাসেই।
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী থাকার পাশাপাশি সম্ভবত সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখের পরে কোনও এক সময়ে আনুষ্ঠানিক প্রশাসনিক পরিকাঠামো নিয়ে কলকাতা একটি জেলা হিসেবেও কাজ করতে শুরু করবে।
সরকারি সূত্রের খবর, কলকাতার প্রথম জেলা কালেক্টর হবেন অবনীন্দ্র সিংহ। এতদিন তিনি ছিলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক। তাঁকে বদলি করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি দফার জেলা সফর শেষ করে কলকাতায় ফেরার পরে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে মুখ্যসচিব সমর ঘোষ প্রশাসনিক কলকাতা জেলার উদ্বোধনের দিন চূড়ান্ত করবেন।
কলকাতার জেলা কালেক্টরের কার্যালয় হবে এসএসকেএম হাসপাতালের বিপরীতে এক নম্বর হরিশ মুখার্জি রোডে। দোতলা ওই সরকারি বাড়িটি এখন বিদ্যুৎ দফতরের অধিকর্তার কার্যালয়। রয়েছে অর্থ দফতরের একটি শাখাও। বাড়িটি থেকে ওই দু’টি কার্যালয়কে অন্যত্র স্থানান্তর করে সেখানে কলকাতার জেলা কালেক্টরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগগুলিকে নিয়ে আসার পদ্ধতি ঠিক করতে মহাকরণে চলছে দফায় দফায় বৈঠক।
এখনও পর্যন্ত জেলা সমাজকল্যাণ, জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ, জেলা যুবকল্যাণ আধিকারিকের মতো ১৫টি সরকারি দফতরকে কলকাতার জেলা কালেক্টরের কার্যালয়ে স্থানান্তরের কথা চলছে। ওই বাড়িতেই তৈরি হবে কলকাতা জেলার জন্য নতুন ট্রেজারি।
হরিশ মুখার্জি রোডের ওই বাড়িটির মালিকানা পূর্ত দফতরের। পূর্ত দফতরকে বাড়িটি কর্মী-প্রশাসনিক দফতরের কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে। এতদিন কলকাতা একটি জেলা হলেও এখানে কোনও জেলাশাসক তথা কালেক্টর ছিলেন না। অন্যান্য জেলার মতো কলকাতার মানুষকে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা দেওয়ার জন্য ছিল না বিভিন্ন সরকারি দফতরের অধীনস্থ জেলা কার্যালয়। ফলে, জাতিগত শংসাপত্র, নাগরিকত্ব শংসাপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনে কলকাতার মানুষকে কখনও আলিপুর, কখনও সল্টলেকে ছোটাছুটি করতে হত। সেই সমস্যা সমাধানের জন্যই পূর্ণাঙ্গ কলকাতা জেলা তৈরি হচ্ছে।
তবে, কলকাতায় প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগের যে অধিকার চিরাচরিত ভাবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের হাতে রয়েছে, সেই ক্ষমতা অন্যান্য জেলায় জেলাশাসকদের হাতেই থাকে। এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে আপাতত জেলা শাসকের পরিবর্তে জেলা কালেক্টরকে মাথায় রেখেই চালু হবে পূর্ণাঙ্গ কলকাতা জেলার প্রশাসনিক কাজ। |