টুকরো খবর |
ঝোপ থেকে রড খুঁজে দিয়েছিল ধৃতই, সাক্ষ্য পুলিশকর্মীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা রেণু সরকারকে হত্যায় ব্যবহৃত রডটি খুঁজে পুলিশের হাতে তুলেছিল ধৃত দুষ্কৃতী মঙ্গল সাহানি। বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহের এজলাসে এই হত্যা-মামলার দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিন, বুধবার সাক্ষ্য দিতে এসে এমনই জানালেন বোলপুর থানার কনস্টেবল কলিমুদ্দিন শেখ। গত ১৩ জানুয়ারি রাতে শান্তিনিকেতনের বাগানপাড়ার বাড়ির দোতলার ঘরে খুন হন রেণুদেবী। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদার এবং দুই দুষ্কৃতী মঙ্গল সাহানি ও পিন্টু দাসকে ধরে। সরকার পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে বুধবার বলেন, “পুলিশকর্মী কলিমুদ্দিন শেখ খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানিকে শনাক্ত করেছেন। রেণুদেবীর খুনে ব্যবহৃত লোহার রডটি নিহতের বাড়ির অদূরে ঝোপ থেকে মঙ্গল খুঁজে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন। ওই রডটি আদালতে চিহ্নিত করেছেন ওই পুলিশকর্মী।” মঙ্গল সাহানির আইনজীবী কার্তিক চক্রবর্তী এবং আর এক অভিযুক্ত উজ্জ্বল তপাদারের আইনজীবী সৈয়দ শাহিদুল আরেফিন কনস্টেবল কলিমুদ্দিন শেখকে জেরা করেন। তিনি আদালতে জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭.১০এর মধ্যে হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেবেন এনভিএফ কর্মী হাসিবউদ্দিন এবং বোলপুরের বাসিন্দা গৌতম বাগদি।
|
ছাত্রী উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • খয়রাশোল |
বাবা তাকে প্রায়ই ‘মারধর’ করত। এই রাগে বুধবার দিদির বাড়ি চলে যাবে বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় পাড়ুই থানা এলাকার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী। কিন্তু পথ ভুলে সে খয়রাশোলের পলাশবুনিতে বাস থেকে নেমে পড়ে ওই ছাত্রী। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে যাওয়ায় খিদে ও ভয়ে কাঁদতে শুরু করে সে। কাঁদতে দেখে স্থানীয় এক প্রৌঢ় তাকে তাঁর বাড়িতে আনেন এবং পলাশবুনির প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ভক্তহরি মণ্ডলকে খবর দেন। ওই শিক্ষক থানায় যোগাযোগ করেন। পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায়। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “আপাতত ওই ছাত্রী মহিলা পুলিশের তত্বাবধানে রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পাড়ুই থানায় পাঠিয়ে তার বাবার সঙ্গে কথা বলা হবে।”
|
ট্রান্সফর্মারের দাবিতে অবরোধ মুরারইয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই ও সাঁইথিয়া |
|
সাঁইথিয়ায় বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র। |
এক সপ্তাহ আগে এলাকার ২৫ কেভি-র একটি ট্রান্সফর্মার পুড়ে গিয়েছে। সেটি না বদলে ১০০ কেভি ট্রান্সফর্মার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। ওই ১০০ কেভি ট্রান্সফর্মারের অবস্থা ভাল নয় এই দাবিতে বুধবার সকাল দশটা থেকে তিনটে পর্যন্ত পথ অবরোধ করলেন মুরারই থানার পাইকর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। এলাকার বাসিন্দা আসিফ ইকবাল বলেন, “২৫ কেভি ট্রান্সফর্মারটিতে চাপ পড়ার জন্যই পুড়ে গিয়েছে। এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা প্রবল। সেটি না বদলে ১০০ কেভি ট্রান্সফর্মার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়।” এতেই এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে মুরারই-রঘুনাথগঞ্জ রোড অবরোধ করেন। দুপুরের পর রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির মুরারই গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্র থেকে ২৫ কেভি ট্রান্সফর্মার বদলে দেওয়া হয়। পরে ওই ২৫ কেভির পরিবর্তে ৬৩ কেভি ট্রান্সফর্মার দেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। অন্য দিকে, গত ১৮ দিন ধরে সাঁইথিয়ার দেড়পুর গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। এরই প্রতিবাদে বুধবার সাঁইথিয়া বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন কিছু গ্রামবাসী। বিদ্যুৎ দফতরের সাঁইথিয়া স্টেশন ম্যানেজার বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, “ট্রান্সফর্মারের ক্ষমতার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ টানার কারণেই ট্রান্সফর্মারটি বিকল হয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
|
১৪৪ ধারা ভেঙে সভা, বিতর্কে তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • নানুর |
|
১৪৪ ধারা ভেঙে বুধবার নানুরের বাসাপাড়ায় সভা করে বিতর্কে জড়ায় তৃণমূল। ছবিটি তুলেছেন সোমনাথ মুস্তাফি। |
১৪৪ ধারা ভেঙে কর্মিসমাবেশ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে নানুরের বাসাপাড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশান্তির আশঙ্কায় সপ্তাহখানেক আগে থেকে বাসাপাড়া ও সংলগ্ন এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। নিয়ম অনুযায়ী ১৪৪ ধারা জারি করা হলে সেই এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষিদ্ধ। কিন্তু এ দিন বিকেলে বাসাপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক সুব্রত ভট্টাচার্য, জেলা কমিটির সদস্য আব্দুল কেরিম খানের নেতৃত্বে তৃণমূলের এক সমাবেশ হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন আব্দুল কেরিম খান। তাঁর দাবি, “১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও দুষ্কৃতীরা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ তাদের কিছুই করতে পারছে না। তারই প্রতিবাদে এ দিন আমরা সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ করেছি। তাতে আইন ভঙ্গ হলে যা হওয়ার হোক।” জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও বেআইনি ভাবে সমাবেশ করার খবর পেয়েছি। এ দিন সমাবেশের যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছে বলে কেউ অভিযোগ করেনি।”
|
কলেজে বিবাদ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
তিনটি ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বুধবার তুমুল বচসা হল রামপুরহাট কলেজে। পড়ুয়াদের পরিচয়পত্র দেওয়া থেকে বৃত্তির কাগজ পরীক্ষা-সহ নানা কাজ অধ্যক্ষের অনুপস্থিতির জন্য ব্যাহত হচ্ছে বলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদ অভিযোগ তোলে। এই নিয়ে ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় থাকা এসএফআই-এর সঙ্গে তাদের বিরোধ বাধে। তিন পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলে। যদিও অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে কলেজের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক অশোককুমার বেরার দাবি, “কলেজে নানা কাজের চাপ রয়েছে। বড় গোলমাল হয়নি।”
|
মারামারি, ধৃত ১১
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় চাপা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে মারামারি হয়। এর রেজে মঙ্গলবার রাতে উত্তেজনা ছড়াল রামপুরহাট স্টেশনে। ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার ধৃতদের রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে ২ দিন জেল হাজত হয়।
|
বোমাবাজি, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
দুটি ক্লাবের মধ্যে বোমাবাজির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল সাঁইথিয়ার হাটগাছা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকার ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি ক্লাবের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। তারই ফলস্বরূপ শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি হয়। জেলা পুলিশ সুপার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা জানান, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কারণে ঘটনা বেশি দূর এগোয়নি। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। পুলিশ জানায়, দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। |
|