সারের দাবিতে কৃষক বিক্ষোভ হল ইলামবাজারে। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সার বিলির দাবিতে কৃষকেরা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধও করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলামবাজারের একটি চালকলের কাউন্টার থেকে বুধবার সকালে সার বিলি করার কথা ছিল। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবার ভোর থেকেই ইলামবাজার ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় ৫০০ কৃষক ওই দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়ান। সকাল ৮টা নাগাদ সার বিলি শুরুর সময় চালকল কর্তৃপক্ষ জানান, পুরনো তালিকায় যে ১৪০ জন কৃষক আছেন, তাঁদের আগে সার দেওয়া হবে। এই কথা শুনে দূর-দূরান্ত থেকে আসা কৃষকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। বাগলবাটি গ্রামের চাষি সদাই মণ্ডল, ইলামবাজারের মানস দেবের ক্ষোভ, “আমরা গতবার সার কিনতে এসেও খালি হাতে ফিরেছি। এ বারও চালকল কর্তৃপক্ষ একটি ‘বেআইনি’ তালিকা তৈরি করে সার বিলির কথা বলছেন। আমরা বাধ্য হয়েই জাতীয় সড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এ দিন সকাল ৮টা থেকে ঘণ্টা দেড়েক পানাগড়-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ ছিল। ঘটনাস্থলে আসেন ইলামবাজার থানার ওসি ত্রিদিব প্রামাণিক। চাহিদা অনুযায়ী সার বিলির আশ্বাস মেলায় সাড়ে ৯টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। সংশ্লিষ্ট চালকলের ম্যানেজার স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০০ বস্তা সার মজুত ছিল। লাইনে ছিলেন কয়েকশো চাষি। গতবার না পাওয়া চাষিদের তালিকা অনুযায়ী সার বিলির কথা বলায় চাষিরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। পুলিশ ও কৃষি বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” এ বিষয়ে ইলামবাজার ব্লকের কৃষি বিভাগের সহ -অধিকর্তা নন্দিতা ভট্টাচার্য বলেন, “ওই কেন্দ্রে ২০০ বস্তা ইউরিয়া ছিল। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষকের সংখ্যা বেশি ছিল বলে শুনেছি। এর পর সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী আরও বেশি সার মজুত করা হবে। সারের মজুত তালিকা ও লাইনে দাঁড়ানো কৃষকদের সংখ্যা নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।” |