স্পেনের মালাগা থেকে আমস্টারডামের শিফোলে আসার পথে ঠিক যেন ‘উধাও’ হয়ে গেল স্পেনের ভয়েলিং বিমানটি। তাতে রয়েছে প্রায় ১৮০ জন যাত্রী। অনেক ক্ষণ সেটির পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হল না। নেদারল্যান্ডের পুলিশও বুঝে নিল ‘ছিনতাই’ হয়ে গিয়েছে বিমানটি। শুরু হল খোঁজ।
বেশ কিছুক্ষণ পরে ডাচ মিলিটারির দু’টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের ঘেরাটোপে শিফোলে বিমানবন্দরে নামল ‘ছিনতাই’ হওয়া বিমানটি। মূল টার্মিনাসের চেয়ে অন্তত ২ কিলোমিটার দূরে। যদি ভিতরে কোনও জঙ্গি থাকে! কিংবা বোমা!
এ দিকে বিমানবন্দরের বাইরে তখন ওই যাত্রীদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের অবস্থা যারপরনাই করুণ। বিমানটি ছিনতাই হয়েছে কি না, সেটাই তখনও পরিষ্কার নয়। প্রত্যেকেই চেষ্টা করছেন কী হয়েছে সেটা বোঝার। এই অবস্থায় বিমানটির এক যাত্রীর সঙ্গে কোনও মতে যোগাযোগ করা গেল। তাঁদের বিমানটি নাকি ছিনতাই হয়েছে, জিজ্ঞাসা করাতেই অবাক হয়ে বললেন, “কই না তো!” |
পরে বোঝা গেল গোটা ঘটনাটি। বিমানটির সঙ্গে কোনও কারণবশত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শিফোলে বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমের। তার জন্যেই যত গণ্ডগোল। শিফোলে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানটির দরজা তখনও খোলেনি। সেই যাত্রীই জানালেন, “কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, বুঝলেন? ছিনতাই হয়নি। তবে আমাদের বিমানটা আকাশে অনেক ক্ষণ চক্কর কাটছিল। এখন বিমানে বসেই অপেক্ষা করছি। কখন দরজা খুলবে আর কখন যে আমরা নামব, বুঝতে পারছি না। এ ছাড়া আর কোনও সমস্যা নেই।”এ পর ডাচ পুলিশের পক্ষ থেকেও বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে, ছিনতাই নয়, ভুল বোঝাবুঝিই হয়েছিল। তাই বোমা বা জঙ্গি, মেলেনি কিছুই। |