মেমারির কানাইডাঙায় এক ব্যক্তির মোটরবাইক ও মোবাইল ফোন চুরি করে পালানোর সময়ে দু’জন দুষ্কৃতীকে তাড়া করে ধরল পুলিশ। ঘটনাটি বুধবার দুপুরে ঘটেছে বর্ধমানের জোৎরামের কাছে। পুলিশ জানায়, মোটরবাইকটি কোথাও লুকিয়ে রখে ওই দু’জন নম্বরহীন একটি গাড়িতে চড়ে পালাচ্ছিল। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “ধৃতদের নাম গৌতম মণ্ডল ও বাপ্পা কুণ্ডু। প্রথম জনের বাড়ি মেমারির রসুলপুর ও অন্য জন বর্ধমানের দিঘিরপুলের বাসিন্দা। দু’জনের কাছ থেকে একটি করে এইট এমএম এবং নাইন এমএম পিস্তল, ১১ রাউন্ড গুলি ও ছ’টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।” পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জেরায় স্বীকার করেছে, বর্ধমানের শ্যামলালের দয়াময়ী কালীমন্দির থেকে কয়েক দিন আগে দুই মহিলাকে ভয় দেখিয়ে মূর্তি-সহ সোনা-রুপোর গয়না নিয়ে পালিয়েছিল। পুলিশ জানায়, ছিনতাই হওয়া বাইক এবং ওই গাড়ির পলাতক চালককে খোঁজা হচ্ছে।
|
গুলিবিদ্ধ এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে কাটোয়া থানার নতুনগ্রামের কাছে এসটিকেকে রোডের ধার থেকে ওই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই যুবকের নাম শুকদেব মণ্ডল (২৮)। বাড়ি কাটোয়া শহর লাগোয়া একাইহাট গ্রামে। ওই যুবকের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। ওই যুবকের পরিবার কাটোয়া থানায় একটি খুনের অবিযোগ দায়ের করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, কাটোয়া থানায় মৃত ওই যুবকের নামে খুনের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই বাড়ির বাইরে ছিল সে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহর লাগোয়া পাঁচঘড়া মোড়ের কাছে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে তাঁকে। এসডিপিও (কাটোয়া) ধ্রুব দাস বলেন, “তদন্তে বেশ কয়েক জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।”
|
ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক বধূর। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কেয়া কোনার (২০)। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বীরভূমের নানুর থানার মোহনপুরে। কয়েক দিন আগে তিনি বোলপুরের কাছে খন্ডগ্রামে মামারবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে মঙ্গলবার বিকেলে রামপুরহাট-বর্ধমান লোকালে চড়ে বাবা সুকুমার কুণ্ডু ও মা জ্যোৎস্নাদেবীর সঙ্গে বাপের বাড়ি গলসির সাটিনন্দী গ্রামে ফিরছিলেন। ঝাপটের ঢাল ও বনপাশের মাঝামাঝি জায়গায় তিনি নিজের ন’মাসের শিশুকে জ্যোৎস্নাদেবীর কোলে দিয়ে উঠে যান। তার পরেই ঘটনাটি ঘটে। বুধবার মৃতদেহের ময়না-তদন্ত হয়। সুকুমারবাবুর দাবি, “শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি সহ্য করতে না পেরে মেয়ে ফিরে আসছিল। কিন্তু এ ভাবে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেবে, তা ভাবতে পারিনি।”
|
বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও বিদ্যুৎকর্মীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাটোয়ার সহকারি বাস্তুকারের কাছে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ চলাকালীন সংগঠনের তরফে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। দলের কাটোয়া জোনাল কমিটির সদস্য সুজিৎ রায়ের অভিযোগ, “অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রকৃত গ্রাহকরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন না।” সিপিএমের আরও অভিযোগ, নিয়ম নীতি না মেনে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন ঠিকা-কর্মীরা। বিদ্যুৎ দফতর অবশ্য সব অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। |