খুনের মামলায় অভিযুক্ত বিহারের আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটির এক নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় প্রায় ৯ ঘণ্টা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন সংগঠনের সমর্থকরা। সোমবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে ইসলামপুর থানার মিলনপল্লি এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে। ঘটনার ফলে আটকে পরে বহু দূরপাল্লার বাস, ট্রাক। চরম বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। আশেপাশে কোনও দোকান না থাকায় খাবার ও জল না পেয়ে অসুবিধেয় পড়েন যাত্রীরা।
পুলিশ জানায়, ওই নেতার নাম রামু হাসদা। তাঁর বাড়ি বিহারের শীতলপুরে। এ দিন দুপুরে সাদা পোশাকের বিহার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এর পরেই ওই নেতাকে অপহরণ করার অভিযোগে দুপুর ১টা থেকে শীতলপুর সংলগ্ন ইসলামপুরের জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ওই সংগঠনের সদস্যরা। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “প্রথমত ওই নেতাকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জানতে পারি। পরে বিহার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। ওই নেতার পরিবারের সঙ্গে তাঁর দেখা করিয়ে দিলে অবরোধ উঠে যায়। তবে দীর্ঘসময় ধরে যারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ইসলামপুরের মিলনপল্লি থেকে ওই আদিবাসী নেতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বিহারের একটি পুলিশ দল। তাঁরা সাদা পোশাকে থাকায় রামুবাবু অপহৃত হয়েছেন বলে সন্দেহ করেন স্থানীয়রা। এর পরেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুলিশ বিশেষ সূত্রে জানতে পারেন রামু হাসদা খুনের মামলায় বিহার পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ দিন তারা সাধারণ পোশাকে এসে রামু হাসদাকে গ্রেফতার করেছে। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল জানান, বিহার পুলিশ ওসে রামুকে গ্রেফতারের কথা প্রথমে জানা ছিলনা। বিষয়টি অপহরণ হিসেবেই ধরা হয়েছিল। পরে বিশেষ সূত্রে খবর পাই, বাড়ির লোকেরা দেখা করে আসার পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। রামু বাবুর পরিবারের লোকেরা ও প্রতিবেশীদের দাবি, রামু বাবুকে ইসলামপুর শহরের মিলনপল্লি এলাকা থেকে তাকে পিস্তল দেখিয়ে নিয়ে যায় ৪-৫ জনের একটি দুষ্কৃতীর দল। বিহারের কিশানগঞ্জের এসপি রঞ্জিত মিশ্র জানান, ইসলামপুর শহর থেকে শহরের সংলগ্ন বিহার থেকে রামুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রামুর বিরুদ্ধে একটা খুন করার চেষ্টা চালানোর একটা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওদের বাড়ি জাতীয় সড়ক সংলগ্ন হওয়ায় তারা ইসলামপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বলে মনে হচ্ছে। |