নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ির কয়েকটি স্কুল নির্বাচনে বামেদের সাফল্যের প্রসঙ্গ টেনে জোটসঙ্গী তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ার করল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে ছাত্র পরিষদের ৫৯-তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্কর মালাকার তৃণমূলকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যে জোট হওয়ায় তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। জোট না হলে কী হল তা ২০০১ সালে দেখা গিয়েছে। আর সিপিএম শেষ হয়ে গিয়েছে তা ভাবলে হবে না। সম্প্রতি শিলিগুড়ি কয়েকটি স্কুল নির্বাচনে জোট না হওয়ায় কী হয়েছে তা মানুষ দেখেছে। উন্নয়নের কাজ, প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি জোটের বিষয়টিও তৃণমূল নেতাদের মাথায় রাখা প্রয়োজন।” গত রবিবার শিলিগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকায় ৪টি স্কুলে পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয়। মোট ২৪ টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসন পায়। এরমধ্যে গোঁসাইপুর হাইস্কুলের ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি বামেরা এবং একটি কংগ্রেস, শিউমঙ্গল হাইস্কুলের ২টি বামেরা এবং ৪টি কংগ্রেস, বেলগাছি হাই স্কুলে ২ বামেরা এবং ২টি করে কংগ্রেস এবং আদিবাসী বিকাশ পেয়েছে। আর বিধাননগর মুরলিগছ হাইস্কুলে ৬টি আসনই বামেরা পেয়েছে। এতে দুটি স্কুলের পরিচালন সমিতিও বামেদের দখলে চলে যায়। তৃণমূল কংগ্রেস একটি আসনও পায়নি। শঙ্করবাবুর অভিযোগ, “নকশালবাড়ি নন্দপ্রসাদ হাইস্কুল, গোঁসাইপুর হাইস্কুলে জোট হলে ফলাফল অন্যরকম হত বলে আমরা জানি। মানুষ এটা দেখতে চায় না। তৃণমূল নেতাদের এখনই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।”
কলকাতার মহাজতি সদনের পাশাপাশি এদিন শিলিগুড়িতেই ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়। কয়েক হাজার ছাত্র পরিষদের সমর্থক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দার্জিলিং জেলা ছাত্র পরিষদ সভাপতি অমিত তালুকদার, যুব কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ রায় চৌধুরীরা ছাত্র পরিষদের উপর তৃণমূলের হামলার নিন্দায় সরব হন। তাঁরা বলেন, “জোট শরিক হওয়ার পরেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতে ছাত্র পরিষদ কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা কাঙ্খিত নয়। সর্বত্রই ছাত্র পরিষদকে ভেঙে দেওয়া, শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।” তাঁরা জানান, কয়েকদিন আগেই এই মঞ্চ থেকেই ভিড়ের নিরিখে ছাত্র পরিষদকে তৃণমূল ছাত্র পরিষধের নেতারা কটাক্ষ করেন। এদিনের মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে ছাত্রছাত্রীরা সভায় এসে তার জবাব দিয়ে দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের জেলার প্রাক্তন সভাপতিরা, পুরসভার কাউন্সিলর, মেয়র পারিষদেরা ছাড়াও জেলা কংগ্রেসের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। |