নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী তোলা থেকে এক রুটের অটো চলছে অন্য রুটে। রাস্তায় যেখানে খুশি দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে। প্রশাসনকে বারবার বলেও কাজ হয়নি। শহরের অটোগুলির এ ধরনের অনিয়ম রুখতে এবার রাস্তায় নামল তৃণমূল কংগ্রেসের অটো ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। মঙ্গলবার সকালে আলিপুরদুয়ার জংশন রেল স্টেশনের কাছে অন্য রুটের বেশ কয়েকটি অটোকে চলতে দেখে তারা চালকদের সতর্ক করেন। অতিরিক্ত যাত্রী তোলার জন্য আলিপুরদুয়ার শহরের বেশ কয়েকটি অটোকেও সর্তক করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। কোনও অটো বার বার আইন ভঙ্গ করছে দেখলে তা সংগঠনের তরফে প্রশাসনকে জানাবেন। |
পাশাপাশি শহরের অটো দাঁড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডের দাবিও প্রশাসনের কাছে তুলে ধরবেন। আগামী দিনে শহরের যানজট সমস্যা এবং অটোগুলির একাংশের অনিয়ম রুখতে তাদের এই অভিযান লাগাতার চলবে বলে জানান নেতারা। আলিপুরদুয়ার ট্রাফিক পুলিশের ওসি দিবাকর ঘোষ বলেন, “শহরের রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ আমরা করছি। তবে কিছু ক্ষেত্রে নজর এড়িয়ে নিয়ম ভেঙে যাত্রী তোলা, অবৈধ ভাবে পার্কিংয়ের ঘটনা ঘটছে।
এ সব অনিয়ম রুখতে লাগাতার অভিযান চলছে।” গত জুলাই মাসে আলিপুরদুয়ার শহরে এ ব্যাপারে অভিযান চালিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তৃণমূল কংগ্রসের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি জোয়াকিম বাক্সলা জানান, শহরের অটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে তাঁদের সংগঠন ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে। রাস্তায় নেমে অটো চালকদের মধ্যে সচেতনা করার কাজ শুরু হয়েছে। |
|
|
বাসের ছাদে ছাত্র
পরিষদের সমর্থকেরা। |
বিধি ভেঙে সিটি অটোর চালকের
পাশে সওয়ারি পুলিশ কর্মী। |
ছবি: কার্তিক দাস। |
|
ডুয়ার্স তৃণমূল অটো ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন আলিপুরদুবারের সম্পাদক বিজন দে বলেন, “আলিপুরদুয়ার শহরের প্রায় ৭০০ অটো চালার অনুমতি রয়েছে। তার মধ্যে অন্য রুটের অটো বেআইনি ভাবে শহরে প্রবেশ করছে। শহরের যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তিনজন যাত্রী তোলার অনুমতি থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। অনেকেরই লাইসেন্স নেই। তাই বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নেমেছেন।” এদিন আলিপুরদুয়ার জংশন রেল স্টেশনের সামনে তাঁরা রাজাভাতখাওয়া-দমনপুর ও দমনপুর থেকে কালচিনি রুটের প্রায় ছয়টি অটো শহরে ঢোকার সময় আটকান। এক রুটের অটো অন্য রুটে চালানোর জন্য মালিকদের সর্তক করা হয়। যানজট আলিপুরদুয়ার মহকুমা শহরের দীর্ঘদিনের সমস্যা। নিত্য দুর্ভোগে পড়তে হয়। প্রশাসন বৈঠক করেই দায়িত্ব সারছেন বলে অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে এক রুটের অটো অন্য রুটে অবাধে চলাচল করছে। পুলিশ প্রশাসনের তরফে তা ঠেকাতে সদর্থক ভূমিকা নেই। মহকুমাশাসক অমল কান্তি রায় বলেন, “যান নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিস্ট দফতরগুলিকে আরও কড়া হতে হবে।” |