যার ভরসায় স্কুলে পাঠাতেন বাবা-মা সেই ভ্যান চালক ‘কাকু’ই দিন কয়েক ধরে তাদের কাছে ‘আতঙ্ক’-এর কারণ হয়ে উঠেছিল।
দিন কয়েক ধরেই কচি-কাঁচা মেয়েগুলিকে সমানে উত্ত্যক্ত করে চলেছিল সে। যাতায়াতের সময়ে অশালীন কথায় অতিষ্ঠ হয়ে দিন কয়েক আগে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা ওই ভ্যান চালকের বিরুদ্ধে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে লিখিত অভিযোগ করে দশ ছাত্রী। তারা সকলেই কাশীশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়া। এর পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি জানিয়ে বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ স্কুল চত্বর থেকে ভ্যান চালককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তার নাম রবি হালদার। বাড়ি বহরমপুর থানার হরিদাসমাটি পঞ্চায়েতের অযোধ্যানগরে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “স্কুলের তরফে প্রধান শিক্ষিকা ওই ভ্যান চালকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ওই ভ্যান চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
প্রধান শিক্ষিকা চৈতালি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির কয়েক জন ছাত্রীকে নিয়ে ভাকুড়ি এলাকা থেকে প্রতি দিন স্কুলে যাতায়াত করত ওই ভ্যান চালক। অভিভাবকেরা বিশ্বাস করে যার উপরে মেয়েদের নিরাপত্তার ভার দিয়েছিল, সেই ভ্যান চালকই গত কয়েক দিন ধরে তাদের উত্যক্ত করছিল বলে জানতে পারি।” তাঁর কথায়, “ওই ভ্যান-রিকশায় প্রতি দিন যাতায়াত করে এমন কয়েক জন ছাত্রী-সহ স্কুলের অন্য ছাত্রীরাও ভ্যান চালকের বিরুদ্ধে আমার কাছে এ দিন লিখিত অভিযোগ করে। স্কুলের মেয়েরা ওই ভ্যান চালকের কথায়-আচরণে বিব্রত ও অস্বস্তি বোধ করছে বলেও লিখিত জানিয়েছে। স্কুলের মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই ওই ভ্যান চালকের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ এসে স্কুল চত্বর থেকে ওই ভ্যান চালককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।” ধৃত চালকের অবশ্য দাবি, “আমি নির্দোষ।” |