টুকরো খবর
থমথমে কৈগড়িয়া
ট্রেনের মধ্যে গলা কেটে খোকন ঘোষ নামে কৈগড়িয়ার এক ছানা ব্যবসায়ীকে খুন করা হয় সোমবার দুপুরে। খোকনবাবুর দেহ ময়নাতদন্তের পরে এই দিন বিকেলে দাহ করা হয়েছে। শোক ছড়িয়ে রেয়ছে গোটা এলাকাতেই। তাঁর স্ত্রী তামালি ঘোষ বলেন, “তিন ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে এ বার কী করে সংসার করব, তা বুঝে উঠতে পারছি না।” খোকনবাবুর বাবা সহদেব ঘোষ বৃদ্ধ। মা নীলিমা ঘোষ বৃদ্ধা। তবে পরিবারটি বড়। আত্মীয় স্বজনেরাই এখনও ঘিরে রেখেছেন তাঁদের। এই গ্রামেরই বাসিন্দা ভঞ্জন ঘোষকে পুলিশ সোমবারই গ্রেফতার করেছিল। এই দিন কাটোয়ার এসিজেএম অঞ্জনকুমার সরকার ভঞ্জনবাবুকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কৈগড়িয়া সম্পন্ন গ্রাম। ৯০টি পরিবারের সাড়ে চারশো মতো লোক রয়েছেন। খোকনবাবু ওই গ্রামের প্রায় সকলেরই প্রিয়পাত্র ছিলেন। যে কোনও প্রতিবেশীর বিপদ আপদে তিনি ছুটে যেতেন। গ্রামের পুজো বা উৎসবেও তিনি সমান উৎসাহে যোগ দিতেন। বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ বলে তাঁর সুনাম ছিল। প্রয়োজনে কারও হয়ে ঝগড়াঝাঁটিও করতে পিছ পা হতেন না। সাহস ছিল যথেষ্ট। তবে তাঁর পরিবারের ভরসা ছিল, সকলেই ভালবাসে বলে তাঁর কোনও ক্ষতি হবে না। খোকনবাবু নিজেও সে কথাই মনে করতেন। তাই নিশ্চিন্তেই প্রতি দিনের মতোই সোমবারেও কাটোয়া আজিমগঞ্জ লোকালে উঠে বাঙ্কে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। টানা পনেরো বছর ধরে তিনি ছানার ব্যবসা করছেন। এই পথ ধরেই রোজ যাতায়াত করেন। গ্রামের বাসিন্দা বলাই ঘোষ বলেন, “খুন প্রাণবন্ত ছেলে ছিল খোকন। গ্রামের কোনও উৎসব থাকলে খোকনই এগিয়ে যেত সবার আগে। প্রতিবেশীদের বাড়ি কোনও উৎসব থাকলে, বা বিপদ-আপদে সে ঝাঁপিয়ে পড়ত।”

মহিলা খুন
এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল নদিয়ার ধানতলার শঙ্করপুর গ্রাম থেকে। তাঁর নাম সুলতা বিশ্বাস (২৬)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে তিনি তাঁর মা দুলুরানি বিশ্বাসের সঙ্গে একই ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় তাঁর মায়ের। দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাঁর মেয়ে। কী ভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে, বা কেন খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ এখনও ধন্দে। রানাঘাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আজহার এ তৌসিফ বলেন, “নির্দিষ্ট ভাবে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ। সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।” বছর চারেক আগে গাংনাপুর থানার আঁইশমালি পূর্বপাড়া গ্রামের সঞ্জিত বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সঞ্জিতবাবু বছর দু’য়েক আগে কর্মসূত্রে পশ্চিম এশিয়ায় যান।

জামিন হল না
জামিন পেলেন না বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি-রেজিস্ট্রার অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের জেলা দায়রা বিচারক শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। এ দিন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিক আদালতে কেস ডায়েরি জমা দেননি। সরকার পক্ষের আইনজীবী কিশোর মুখোপাধ্যায় বলেন,“আইন অনুযায়ী আগাম জামিনের এক মাসের মধ্যে কেন ডায়েরি দেখে শুনানি করতে হয়। কিন্তু এ দিন ডায়েরি জমা না পড়ায় শুনানি হয়নি। সেই কারণে আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়নি।’’ কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেন ডায়েরি জমা দিতে পারল না পুলিশ? জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন,“তদন্তের কারণেই এ দিন কেস ডায়েরি জমা দেওয়া যায়নি।”

পরিচারিকার মৃত্যু, বিক্ষোভ কৃষ্ণনগরে
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত পরিচারিকা নয়ন সাঁতরার (১৫) দেহ আটকে শক্তিনগর পুলিশ মর্গের সামনে বিক্ষোভ দেখাল সারা বাংলা পরিচারিকা সমিতি। বাড়ির মালিককে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের বিক্ষোভ চলল বেশ কিছুক্ষণ। সোমবার রাতে ওই পরিচারিকার দগ্ধ দেহ মেলে বাড়িতে। সেই থেকে বাড়ির মালিক দিলীপ কর পলাতক। ওই কিশোরির কাকা রঞ্জনবাবুর অভিযোগ, ‘‘ওই দিন তাকে খুন করার আগে ধষর্ণ করা হয়েছিল।” রানাঘাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আজহার এ তৌসিফ বলেন, “কিশোরী মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়েছে। আমরা অভিযুক্তের খোঁজ করছি।”

ধৃত ছিনতাইকারী
কান্দি এলাকায় দিনকয়েক আগে এক সোনার দোকানের মালিকের কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও কয়েক ভরি সোনার গয়না ছিনতাই করে পাঁচ দুষ্কৃতী। গত ১৯ অগস্ট রাতের ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত তিন জন হাসিুবর রহমান, ইসমাইল শেখ ও কিরমানি মণ্ডল। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানান, ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ৬৩ হাজার টাকা ও এক ভরি সোনার গহনা উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিলেছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও।

‘ক্ষোভে’ টাওয়ারে
পাত্রী ‘পছন্দ’ হয়নি বলে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গিয়ে দিনভর একটি টাওয়ারে উঠে বসে থাকলেন বছর চব্বিশের হাসান দফাদার নামে এক যুবক। অবশেষে দমকল, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় তাকে টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনা হয়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনই এক টানটান ‘নাটকের’ সাক্ষী থাকলেন তেহট্টের জিতপুর এলাকার মানুষ।

জলে ডুবে মৃত্যু
জলে ডুবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। নাম কার্তিক কর্মকার (৪৫)। বাড়ি হরিণঘাটা থানার বালিন্দি এলাকায়।

আসামি উধাও
কৃষ্ণনগর জেলা আদালত থেকে বন্দি পালাল। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা জজের এজলাস থেকে উধাও হয়ে যায় মাদক পাচারে অভিযুক্ত হাবিল শেখ। বাড়ি কালীগঞ্জের মীরা মাটিপাড়ায়। আদালতে তখন বিচারক ছিলেন না। আসামি কাঠগড়া টপকে এজলাসের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, “নিরাপত্তাকর্মীর গাফিলতি প্রমাণ হলে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গ্রেফতার
খুনের অভিযোগে ফেরার এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। নাম মানব মুখোপাধ্যায়। সোমবার রাতে কল্যাণীর নতুনপল্লির এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.