|
|
|
|
শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর |
হলদিয়ায় তৃণমূল কার্যালয়ে আগুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
একই এলাকায় তৃণমূলের দু’টি দলীয় কার্যালয়। রাতের অন্ধকারে তারই মধ্যে একটিতে আগুন লাগিয়ে দিল একদল দুষ্কৃতী। হলদিয়ার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিবেদিতা কলোনি এলাকায় লালুর মোড়ের কাছে সোমবার রাতের এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। মঙ্গলবার এই নিয়ে হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে কারও নামে নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ না জানালেও সিপিএমের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তাঁদের। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই ওই এলাকায় দু’টি কার্যালয়। আর সেই দ্বন্দ্বের জেরেই আগুন লেগেছে একটি কার্যালয়ে। |
|
ভস্মীভূত তৃণমূল কার্যালয়। ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
১৯ নম্বর ওয়ার্ডটি সিপিএমের দখলে রয়েছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের দেবপ্রসাদ মণ্ডলের অভিযোগ, “ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নমিতা প্রামাণিক টাকার বিনিময়ে ভোটে জিতলেও কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। প্রতিশোধ নিতে দুষ্কৃতী দিয়ে পার্টি অফিস পুড়িয়েছে সিপিএম।” কাউন্সিলর নমিতা প্রামাণিক অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, “ওখানে তৃণমূলের দু’টি পার্টি অফিস রয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকেই কার্যালয়টি পুড়েছে।
এ দিকে, অন্য কার্যালয়টির দায়িত্বে থাকা পূর্ণেন্দু সামন্তের দাবি, “আমাদের দু’টি কার্যালয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে।” তিনি জানান, বছরখানেক আগে লালুর মোড়ের ওই কার্যালয়টির দায়িত্ব থেকে উত্তম প্রধান নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে সরিয়ে দেওয়ার পরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল কে বা কারা। এ বারও আগুন লাগানোর পিছনে উত্তমবাবুরই হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। উত্তম প্রধানের পাল্টা অভিযোগ, “পূর্ণেন্দুর বিরুদ্ধে বহু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ও কোন সংগঠনের, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।” |
|
|
|
|
|