|
|
|
|
কাজ পর্যালোচনায় বৈঠক জেলা পরিষদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেলপাহাড়ি সফরের পরপরই বিডিওদের নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত। বিধায়কদের নিয়েও বৈঠক হয়েছে। তবে ‘ব্রাত্য’ থেকেছে জেলা পরিষদ। অন্তত, জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ এমনই। রাজ্য সরকারও এখন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের থেকে বেশি ‘গুরুত্ব’ দিচ্ছে বিডিওদের। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। কাল, বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হবে। কোন কোন প্রকল্পের টাকা পড়ে রয়েছে, ঠিক কী কারণে সময়ের মধ্যে প্রকল্প রূপায়িত করা যাচ্ছে না, সমস্যা কোথায়, এই সব বিষয় নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে খবর। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের নিয়ে রিভিউ মিটিং ডাকা হয়েছে। এটা রুটিন বৈঠক। সংশ্লিষ্ট সমস্ত কিছু নিয়েই এখানে আলোচনা হবে।”
ইতিমধ্যে জেলার বেশ কিছু এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্লক প্রশাসনের একটা ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। দু’পক্ষের সমন্বয়ের অভাবে বেশ কিছু কাজ পড়ে থাকছে বলেও অভিযোগ। জেলা সভাধিপতি বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে সমন্বয়ের মধ্যে ফাঁক থেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। সব দফতর সমন্বয় রেখে কাজ করতে না পারলে সময়ের মধ্যে কাজ এগোবে কী করে? এখন তো বিডিওদেরই ‘বাড়তি’ দায়িত্ব নিতে বলা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের কাজকর্ম দেখভাল করতে বলা হচ্ছে। বিডিওদের সঙ্গে জেলাস্তরে বৈঠক হচ্ছে। তাও প্রশাসনের সবস্তরে সমন্বয়ে ফাঁক থেকে যাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন প্রকল্প ব্যাহত হচ্ছে।”
জেলায় ইন্দিরা আবাস যোজনার কাজ সে ভাবে এগোচ্ছে না। বরাদ্দের মাত্র ২২ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে। বাকি টাকা পড়েই রয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, এই প্রকল্পে সব মিলিয়ে প্রায় ৫৭ কোটি ৮ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা পড়ে রয়েছে বিভিন্ন ব্লকে। এক সময় লোধাদের জন্য ফলের বাগান তৈরির পরিকল্পনা করেছিল জেলা প্রশাসন। ঠিক হয়েছিল, প্রথম পর্যায়ে ৫টি এলাকায় বাগান তৈরি করা হবে। নারায়ণগড়ের তরফবারপণ্ডা ও গোনুয়া, শালবনির ভাঙাডালিতে ফলের বাগান তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই মতো অর্থও বরাদ্দ হয়। তবে কাজ হয়নি। গ্রাম উন্নয়ন সমিতির জন্য বরাদ্দ টাকাও পড়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১১-’১২ আর্থিক বছরে এই খাতে ১ কোটি ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও এক টাকাও খরচ হয়নি। এই পরিস্থিতিতেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন সভাধিপতি। জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “বৈঠকে বিভিন্ন কাজের পর্যালোচনা হবে। কাজ এগোতে কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে, নিজেদের কোনও গাফিলতি থেকে যাচ্ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।” |
|
|
|
|
|