বিশ্বকাপার নিয়েও হেরে গেল প্রয়াগ |
কোস্টারিকার বিশ্বকাপার কালোর্স হার্নান্দেজ। আই লিগে গোল্ডেন বুটের মালিক র্যান্টি মার্টিন্স। দেশের এক নম্বর গোলকিপার সুব্রত পাল। জাতীয় দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার গৌরমাঙ্গি সিংহ। প্রয়াগ ইউনাইটেডের দল গঠনের মহাচমক ময়দানে শোরগোল ফেলে দিলেও মরসুমের দ্বিতীয় ম্যাচেই দল লাইনচ্যুত।
সুব্রত-গৌরমাঙ্গিরা নেহরু কাপে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে কাবু র্যান্টি। কিন্তু আগের দু’ম্যাচে ১১ গোল হজম করা ইস্টার্ন রেলকে বিশ্বকাপার নিয়েও প্রয়াগ হারাতে পারল না, উল্টে নিজেরাই হেরে বসল। এটাই কি এ বারের কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ধাঁধা?
মঙ্গলবার নব্বই মিনিটই খেললেন কার্লোস হার্নান্দেজ। কিন্তু তাতে কী? বিশ্বকাপার যে এখনও সম্পূর্ণ ফিট হয়েই উঠতে পারেননি! কার্লোসের যেখানে দলের বাকিদের দিশা দেখানোর কথা, উল্টে সেখানে তাঁকেই ঠেলে-ঠেলে নিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রয়াগে র্যান্টির সঙ্গী হিসেবে তাঁকে নিয়ে আসা হলেও, দ্বিতীয় ম্যাচেই কার্লোসের মধ্যে স্ট্রাইকারের গুণাবলির চিহ্নমাত্র পাওয়া গেল না। বিপক্ষের বক্সের চার পাশে দ্রুত নড়াচড়া, হেডিং, গোলা শট, ছটফটানি কিংবা টার্নিং কোনওটাই নেই কার্লোসের। ওডাফা ওকোলির মতো চারটে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করবেন, সেই ক্ষমতাও নেই। কোচ সঞ্জয় সেন নিজেও স্বীকার করে নিলেন, “কার্লোস স্ট্রাইকার নয়। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। বিকল্প নেই বলে ওকে ফরোয়ার্ড খেলাচ্ছি।”
প্রয়াগ কোচের কথা একেবারে সত্যি। কোটি কোটি টাকার দল বানালেও সব বিভাগে সমান নজর দেননি কর্তারা। র্যান্টি ছাড়া গোল করার লোক নেই। দ্বিতীয় স্ট্রাইকার শঙ্কর ওঁরাও। কিন্তু যে দিন খেলতে পারবেন না র্যান্টি, সে দিন? সে দিন রেলের মতো অফিস টিমও লাইনচ্যুত করে দেবে প্রয়াগকে! রেল ফুটবলারদের গড় বয়স তিরিশ। গত দু’ম্যাচে বিদেশি ফুটবলারের অভাবে ভুগতে হয়েছিল। এ দিন অবশ্য হেনরি আর ইফিয়ানি নামতেই গড়গড়িয়ে চলল রেল। ম্যাচ শেষের পনেরো মিনিট আগে গতি বাড়িয়ে প্রয়াগের দুই ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে নিয়ে জয়ের গোল করেন হেনরি।
প্রয়াগ ইউনাইটেড ময়দানের তৃতীয় শক্তি হয়ে উঠবে কি না, সেটা সময় বলবে। তবে এই মুহূর্তে র্যান্টির সঙ্গী খোঁজাই বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ প্রয়াগের। |