বেকহ্যাম-অঁরিদের হয়তো দেখা যাবে না কলকাতা-গোয়ায় |
আই লিগ ক্লাবগুলোর তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও ডেভিড বেকহ্যাম, থিয়েরি অঁরিদের খেলা সম্ভবত আটকানা যাচ্ছে না। ক্রিকেটের আইপিএলের আদলে আইএমজি সংস্থা এ দেশে যে ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে চাইছে সেটা পরের আই লিগ চলাকালীনই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁরা। আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আট সপ্তাহের এই টুর্নামেন্ট (এখনও নাম চূড়ান্ত হয়নি) হওয়া প্রায় পাকা।
ক্লাবগুলো ফেডারেশনের সভায় নতুন লিগ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানানোয়, খুব গোপনে কিন্তু দ্রুত এগোচ্ছে আইএমজি। কলকাতা-মারগাও, এ দেশে ফুটবল যেখানে সবথেকে জনপ্রিয়, ফ্রাঞ্চাইজি হিসেবে সেই দুটো শহরকে এখনই ধরার কথা ভাবা হচ্ছে না। কারণ মাঠ ও আলোর সমস্যা। মারগাও স্টেডিয়াম নিয়ে ওই সময় সমস্যা আছে। কলকাতার সমস্যা যুবভারতীর নৈশালোক। মঙ্গলবারই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্লাবগুলোকে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বরের আগে যুবভারতীতে ফ্লাডলাইটের সংস্কার আদৌ সম্ভব নয়। স্পনসররা তাই দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বই, পুণের মতো আট শহরকে বাছতে চাইছেন।
ছ’শো কোটি টাকার টুর্নামেন্টের জন্য ইতিমধ্যেই বিদেশের আন্তর্জাতিক তারকা ফুটবলারদের কাছে চুক্তিপত্র পাঠানো শুরু হয়েছে। আইএমজি অবশ্য আই লিগ বন্ধ করতে চায় না। তবে ওই টুর্নামেন্ট সম্পর্কে তারা হতাশ। বিজ্ঞাপন এবং দর্শক সে ভাবে মাঠে আনা যায়নি আই লিগে। ফ্রাঞ্চাইজি লিগে প্রত্যেক দলে চার বিদেশির পাশাপাশি আই লিগের ফুটলারদের নেওয়া হবে। এ জন্য ক্লাবগুলোকে টাকা দেবে আইএম জি। যেমন সুব্রত পাল-নবি-মেহতাবরা হয়তো তাঁদের ক্লাব থেকে মাসে পান পাঁচ লাখ। দু’মাস ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার জন্য সেই ক্লাবগুলোকে স্পনসররা দেবেন ফুটবলার প্রতি চার মাসের টাকা, অর্থাৎ কুড়ি লাখ। আইএমজি-র এক মুখপাত্র বললেন, “ক্লাবগুলোর তো তাতে আপত্তি থাকার কথা নয়। আসলে আমরা চাইছি সমুদ্রের জল নদীতে ঢোকাতে। ফ্রাঞ্চাইজি লিগের জনপ্রিয়তার সুবাদে আই লিগে স্পনসর আসবে ধরে নিচ্ছি আমরা।” ক্লাবগুলো যতই প্রতিবাদ করুক ফেডারেশনের এক কর্তা বলে দিলেন, “এআইএফএফের সঙ্গে আইএমজি-র যে চুক্তি আছে তাতে ওরা আর একটা নতুন টুর্নামেন্ট করতেই পারে। ওরা এতটাই বদ্ধপরিকর যে, হুমকি দিয়ে রেখেছে নতুন টুর্নামেন্ট করতে না দিলে বিশাল জরিমানা দিয়েও সরে দাঁড়াবে আই লিগের স্পনসরশিপ থেকে।” |