বাড়ি ভাড়ার টাকা নিয়ে গণ্ডগোল। তার জেরে কিছু যুবকের বিরুদ্ধে এক দম্পতিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটি থানা এলাকার কেষ্টপুর-ঘোষপাড়ায়। ওই দম্পতি এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর বিকাশ নস্করকে বিষয়টি জানাতে গেলে তিনি তাঁদের মারধরের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি বাড়িওয়ালার সঙ্গে ভাড়ার টাকা নিয়ে বিবাদ বাধে ওই দম্পতির। তার পরে তাঁরা ওই বাড়ি ছেড়ে রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় অন্য বাড়িতে উঠে যান। অভিযোগ, তার পর থেকেই পুরনো বাড়িওয়ালা টাকা চেয়ে ধরনের হুমকি দিতে থাকেন। রবিবার সেই বাড়িওয়ালার ছেলে ও তার সঙ্গীরা ওই দম্পতিকে মারধর করে। মহিলাকে মাটিতে ফেলে তাঁর ওড়না টেনে শ্লীলতাহানিও করা হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কেউ ধরা পড়েনি।
দম্পতির অভিযোগ, থানা নিষ্ক্রিয়। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা তো নেয়ইনি। উল্টে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে গিয়ে মিটমাট করে নিতে বলে তাঁদের। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার কাউন্সিলর বিকাশবাবুকে বিষয়টি জানাতে গেলে তিনি থানায় যাওয়ার জন্য দম্পতিকে মারধরের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। যারা তাঁদের মারধর করেছে, তারা বিকাশবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ করেছেন দম্পতি। বিকাশবাবু মঙ্গলবার বলেন, “এ-সব মিথ্যা অভিযোগ। আমি মিটিয়ে নেওয়ার কথাই বলেছিলাম। দম্পতির বিরুদ্ধেও মারধরের অভিযোগ এনেছে ওই ছেলেরা।” তবে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি বলে পুলিশি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ কোথাও নিষ্ক্রিয়, কোথাও বা অতি-সক্রিয় বলে ইদানীং প্রচুর অভিযোগ আসছে। শুধু জেলা নয়, খাস কলকাতাতেও থানা-পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় বলে বিভিন্ন মামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। নিষ্ক্রিয়তার জন্য খোদ পুলিশ কমিশনারকে ডেকে তিরস্কারও করেছে উচ্চ আদালত। তার পরেও যে পুলিশের উদাসীনতা কাটেনি, কেষ্টপুরের ঘটনায় সেটাই প্রমাণিত। দম্পতির অভিযোগের ব্যাপারে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, পুলিশের তরফে তার জবাব নেই। |