মেয়ের পায়ে শেকল, প্রশাসনের দ্বারস্থ বাবা
র্থাভাব। চিকিৎসা করাতে না পেরে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে প্রায় এক দশক ধরে পায়ে শেকল বেঁধে রেখেছিলেন বাবা। চিকিৎসার জন্য পঞ্চায়েতে জানিয়ে ব্যবস্থা না হওয়ায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বোলপুর থানার জয়কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা পেশায় খেতমজুর আনন্দ লোহার। বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বলেন,“মঙ্গলবার মানসিক প্রতিবন্ধী বৈশাখীকে উদ্ধার করে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।” হাসপাতাল সুপার সুদীপ মণ্ডল বলেন,“ওই কিশোরীর মানসিক ও শারীরিক সমস্যার সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ নিতে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হবে।”
হাসপাতালে বৈশাখী। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
বৈশাখীর বাবা আনন্দবাবুর কথায়, “বছরদশেক আগের ঘটনা। বড় মেয়ে বৈশাখী জয়কৃষ্ণপুর প্রাথমিক স্কুলে পড়ত। একদিন বাড়ি না ফিরে অন্য গ্রামে চলে যায়। তার কিছুদিন পর থেকেই ওর আচরণে অস্বাভিকতা লক্ষ্য করি। স্থানীয় কিছু চিকিৎসককে দেখিয়েও লাভ হয়নি। রোজগারের জন্য আমি ও স্ত্রী সকালে বেরিয়ে যাই। আর এক ছেলে ও মেয়ে স্কুলে পড়ে। তাই অনটনে মেয়ের চিকিৎসাও ভালোভাবে করাতে পারছি না। অনেকে বলেন ব্যায়সাধ্য চিকিৎসার জন্য এত টাকা পাব কোথায়! তাই অন্য উপায় না পেয়ে পায়ে শিকল পরিয়ে রেখেছি।” মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “বিষয়টি জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করি।” মহকুমাশাসক বলেন, “ওই কিশোরীর চিকিৎসার খরচ প্রশাসন বহন করবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.