|
|
|
|
রেণু সরকার হত্যা মামলা |
খুনের অস্ত্র খুঁজে দিয়েছিল ধৃতই, সাক্ষ্য পুলিশকর্মীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা রেণু সরকারকে হত্যায় ব্যবহৃত রডটি পুলিশকে খুঁজে দিয়েছিল ধৃত দুষ্কৃতী মঙ্গল সাহানি। বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহের এজলাসে এই হত্যা-মামলার দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন, মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এমনই জানালেন বোলপুর থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) সুবোধ মণ্ডল।
গত ১৩ জানুয়ারি রাতে শান্তিনিকেতনের বাগানপাড়ার বাড়ির দোতলার ঘরে খুন হন রেণুদেবী। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদার এবং দুই দুষ্কৃতী মঙ্গল সাহানি ও পিন্টু দাসকে ধরে।
সরকার পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে এ দিন বলেন, “সুবোধ মণ্ডল অন্যতম অভিযুক্ত মঙ্গলকে শনাক্ত করেছেন। মঙ্গলকে জেরা করে রেণুদেবীর খুনে ব্যবহৃত লোহার রডটিও আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল।” তপনবাবু জানিয়েছেন, এ দিনের আর এক সাক্ষী, নিহত রেণুদেবীর পড়শি সুপ্তা বসু ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র শনাক্ত করেছেন। সুপ্তাদেবী আদালতকে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ’ এবং আলোকচিত্রীরা ঘটনাস্থলে মেলা হাতের ছাপ ও ছবি নেওয়ার সময় তিনি সেখানে ছিলেন।
অন্যতম অভিযুক্ত উজ্জ্বল তপাদারের আইনজীবী সৈয়দ শাহিদুল আরেফিন এ দিন সুপ্তাদেবীকে জেরা করেন। আইনজীবীর প্রশ্নের উত্তরে সুপ্তাদেবী আদালতকে জানান, ঘটনার দিন উজ্জ্বলের কাছ থেকেই তিনি খুনের খবর পেয়েছিলেন।
মামলায় আর এক অভিযুক্ত মঙ্গল আইনজীবী বদলেছে। এ দিন নতুন আইনজীবী কার্তিক চক্রবর্তী বোলপুরের এএসআইকে জেরা করেন। রড উদ্ধার হওয়ার সময় অন্য কেউ ছিলেন কি না এবং ওই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিংয়ের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না, জানতে চান তিনি।
তিনি আরও জানতে চান, মঙ্গল পুলিশের সামনে ঘটনার পুনরাভিনয় করে করে দেখানোর সময় কেউ সেখানে ছিলেন কি না। উত্তরে সুবোধবাবু জানান, রাস্তায় কেউ ছিলেন না। ভিডিও রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না তা তাঁর জানা নেই। ওই সময় রেণুদেবীর বাড়িতেও কেউ ছিলেন না বলেই তাঁর দাবি। আজ, বুধবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেবেন বোলপুর থানার কনস্টেবল কলিমুদ্দিন শেখ। |
|
|
|
|
|