|
|
|
|
চুরি হলেই তাঁদের সন্দেহ, বিক্ষোভ পরিচারিকাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
বাড়িতে চুরি হলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথম সন্দেহটা গিয়ে পড়ে পরিচারিকার উপরে। শুরু হয়ে যায় পুলিশি টানা-হ্যাঁচড়া। অনেক ক্ষেত্রে পরে দেখা যায়, সেই পরিচারিকা নির্দোষ। এমনই সব অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারের নন কোম্পানি এলাকায় একটি বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পরিচারিকার কাজ করা শ’তিনেক মহিলা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
সম্প্রতি নন কোম্পানি এলাকার ওই বাড়িতে চুরির ঘটনার পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল বাড়ির পারিচরিকাকেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় প্রতিবেশীর সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন ওই বাড়ির কর্ত্রী। বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। স্বামী মারা গিয়েছেন। ছেলে-মেয়ে থাকেন দিল্লিতে। রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন, গ্রিল ভেঙে নগদ টাকা, গয়না, ল্যাপটপ নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির পরিচারিকাকে আটক করে। |
|
জমায়েত সিটি সেন্টারে। —নিজস্ব চিত্র। |
ওই পরিচারিকার অভিযোগ, তাঁকে থানায় নিয়ে যান পুরুষ পুলিশকর্মীরা। জিজ্ঞাসাবাদও করেন তাঁরাই। তাঁর দাবি, তিনি সততার সঙ্গে কাজ করেন। চুরির ঘটনায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করার পরে পরিজন ও পড়শিদের নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পরিচারিকা বলেন, “সব মিলিয়ে নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছে।”
তিনি বিষয়টি সঙ্গীদের জানান। শহরের প্রত্যন্ত এলাকা কলাবাগান, গ্যামন ব্রিজ কলোনি, শ্যামপুর ইত্যাদি জায়গা থেকে প্রতি দিন তাঁরা একাধিক বাস বদলে সিটি সেন্টারের নানা এলাকায় কাজ করতে আসেন। তাঁদের অভিযোগ, যখনই কোনও বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে পুলিশ প্রথমেই তাঁদেরই সন্দেহ করে। তাঁদের দাবি, অতীতে দেখা গিয়েছে, দু’একটি ক্ষেত্র বাদে এই সন্দেহ অমূলক। এ সব অভিযোগেই মঙ্গলবার সকালে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশকর্মীরা বিক্ষোভ তুলে নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু পরিচারিকারা তা মানতে চাননি। শেষে পুলিশ খানিকটা জোর করেই তাঁদের হটিয়ে দেয়। এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, তদন্তের স্বার্থেই ওই পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চুরির কিনারা করার জন্য সূত্রের খোঁজ পেতেই তা করা হয়। |
|
|
|
|
|