‘ব্যস, চট্ মাঙনি পট্ বিহা’
উস্তাদ রশিদ খান
আমি মূলত উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বরেলীর কাছে বাদাঁয়ু হল আমার জন্মস্থান। শাকিল বাদাঁয়ুর নামেই এ শহরের নাম। আমার পূর্বপুরুষেরা সকলেই সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র। আমাদের নিজস্ব সঙ্গীত ঘরানা রয়েছে। রামপুর সহসওয়ান সঙ্গীত ঘরানা। উস্তাদ ইনায়েত হুসেন খান এই ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা। আমার বাবা হামিজ রেজা খানও ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ। আমার যখন চার বছর বয়েস তখন আমি সঙ্গীতের নাড়া বাঁধি। গুরু হিসেবে পেলাম উস্তাদ নিসার হুসেন খান সাহেবকে। সম্পর্কে তিনি আমার দাদু। ওই ছোট বয়সে সব সময় গানবাজনা ভাল লাগত না। মন পড়ে থাকত ফুটবল, ক্রিকেটে। বর্ষায় কাদা মেখে ফুটবল খেলে এসে রেওয়াজে বসে পড়তাম। রেওয়াজে বসতে দেরি করলেই বকাবকি অবধারিত।
রামপুর সহসওয়ান সঙ্গীত ঘরানাটা বেশ কঠিন। এর বৈশিষ্ট্য হল মধ্যম নিচু লয়, মুক্ত কণ্ঠ ও জটিল তাল। একটা তান নিয়ে সারা দিন ধরে রেওয়াজ করে চলেছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যতক্ষণ পর্যন্ত সুরটা ঠিক জায়গায় লাগছে, ততক্ষণ চলত রেওয়াজ।
তখন আমার আট বছর বয়েস হবে। বরেলীর বিখ্যাত এক জন পীরবাবা আছেন, ওঁর মাজারে গিয়েছি গান গাইতে। দাদুও সঙ্গে আছেন। আমার গান শুনে পীরবাবা দাদুকে ডেকে বললেন, ‘দেখো, তোমার নাতি খুব বড় গাইয়ে হবে, শুধু ওর উপর নজর রেখো।’ পীরবাবার এই কথা শোনার পর দাদু আমার রেওয়াজের ওপর একটু বেশি মাত্রায় নজর দিতে আরম্ভ করলেন।
ভুবনেশ্বরের এক অনুষ্ঠানে আমার গান গাইবার কথা। সে দিন আমার জ্বর, প্রচণ্ড গা হাত-পা ব্যথা। রবিবার সকালে একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছি। দাদু এসে দেখেন আমি শুয়ে আছি। উনি রেগে গিয়ে আমাকে এমন মার মারলেন যে জ্বর উধাও। সন্ধের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বসন্ত শাঠে মহাশয়ও। অনেকক্ষণ বসে আমার গান শুনলেন। অনুষ্ঠান শেষে আমাকে জড়িয়ে ধরে আদর করে হাজার এক টাকা পুরস্কার দিলেন।
১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসে আমরা চলে এলাম কলকাতায়। তখন আমার বয়েস ১৪ বছর। কলকাতার আই টি সি-র সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমিতে গান শেখার সুযোগ পেলাম। এখানেও আমার গুরুজি উস্তাদ নিসার হুসেন খান সাহেবের তত্ত্বাবধানে শুরু হল এক নতুন অধ্যায়। আই টি সি-র এক সঙ্গীত-সন্ধ্যায় পণ্ডিত অরুণ ভাদুড়ী, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে এক মঞ্চে গান গাইবার সুযোগ আসে। ছোটবেলা থেকে সঙ্গীত সাধনা করছি, কিন্তু সঙ্গীতকে উপভোগ করলাম ১৮ বছর বয়েসে এসে।
এরই মধ্যে একটি মেয়েকে দেখে আমার ভীষণ ভাল লেগে যায়। অসমের গুয়াহাটিতে থাকে, বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ছাত্রী। ঠিক করলাম ওই মেয়েটিকেই আমি বিয়ে করব। ওর এক আত্মীয়কে আমি গান শেখাতাম। তাকেই ব্যাপারটা বলি। দেরি হচ্ছে দেখে, এক দিন নিজের মনের কথা নিজেই বলে ফেলি, ‘দেখো, আমি তোমায় ভালবাসি, আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই, এক মিনিটের মধ্যে আমাকে হ্যাঁ অথবা না বলো, অপেক্ষায় থাকা আমার পোষাবে না।’ স্বাভাবিক ভাবেই এই কথা শোনার পর ও ঘাবড়ে গিয়েছিল, পরে অবশ্য ‘হ্যাঁ’ বলেছিল। ব্যস, চট্ মাঙনি, পট্ বিহা।
আমার স্ত্রী হিন্দু হলেও দুই পরিবারের তরফে কোনও বাধা আসেনি। আমাদের পরিবারের মধ্যে জাতপাতের ব্যাপার নেই।
পণ্ডিত রবিশঙ্করজির সঙ্গে এক মঞ্চে অনুষ্ঠানের সুযোগ আসে। পণ্ডিত রবিশঙ্করজি আমাকে প্রচুর উৎসাহ ও আশীর্বাদ দেন। পণ্ডিত ভীমসেন যোশীও আমায় ভীষণ স্নেহ করতেন এবং একসঙ্গে অনুষ্ঠান করার সৌভাগ্যও হয়েছে আমার। অবশেষে ২০০৬ সালে আমি ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার পেলাম। ওই একই বছরে ‘সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি’ পুরস্কার পেলাম। চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমাকে ‘বঙ্গভূষণ’ পুরস্কারে সম্মানিত করেছে।
আমার প্রিয়

রং: সাদা, কালো
নায়ক: দিলীপকুমার, অমিতাভ বচ্চন, আমির খান, শাহরুখ খান
নায়িকা: রেখা, মাধুরী
মানুষ: উস্তাদ নিসার হুসেন খান, ভীমসেন যোশী
রাগ: ইমন, পুরিয়া, চারুকেশী
লেখক: জাভেদ আখতার
খাবার: কাবাব, বিরিয়ানি, পান
আমি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিল্পী। তাই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ছাড়া অন্য কোনও মাধ্যমে গান গাইব না, এমনটাই ঠিক করেছিলাম। অনেক দর্শক, শ্রোতারা আমাকে দেখা হলেই জিজ্ঞাসা করতেন, ‘খানসাব, আপনি ফিল্মে প্লেব্যাক করছেন না কেন?’ আমার কাছে অফার প্রচুর এলেও আমি না করে দিতাম। তার পর চিন্তাভাবনা করছি গাইব কী গাইব না। এমন সময় আমার কাছে ইমতিয়াজ আলির ছবি ‘যব উই মেট’ ছবিতে একটা গানের জন্য ফোন করেন সন্দেশ সান্থালিয়া। যদিও ওই ছবির সব ক’টি গানের সুর করেছেন প্রীতম। কিন্তু একটা গানের সুর করেছেন সন্দেশজি। প্রথমে না করে দিই। তার পরে টাকার অঙ্কটা বাড়িয়ে বললাম। দেখলাম তাতেও রাজি। তখন সন্দেশজি কলকাতায় এলেন। ‘আওগে যব তুম ও সাজনা’ গানটা গেয়ে শোনালেন। সুরটা পছন্দ হল। তার পর আমি নিজের মতো করে গানটা গেয়ে শোনালাম। বলাবাহুল্য, সেই সুরটাই রেকর্ড করা হল। তার পর থেকে অনেক গান গেয়েছি।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিল্পী হলেও রবীন্দ্রসঙ্গীত আমার ভীষণ প্রিয়। সম্প্রতি আমার গাওয়া ‘বৈঠকী রবি’ রিলিজ করেছে। আমার মতে, যাঁরা সঙ্গীত চর্চা করেন, তাঁদের অবশ্যই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেওয়া প্রয়োজন। একটা কথা মনে রাখা উচিত, যাঁরা খুব সহজে লাইম লাইটে আসেন, তাঁরা খুব সহজে চলেও যান। দর্শক-শ্রোতা তাঁদের বেশি দিন মনে রাখেন না।
আমজনতা এখন অনেক বেশি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শুনছেন, এটা খুবই সুখের খবর। বলিউডের ব্যস্ত তারকারাও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এতটা ভালবাসেন, এটা প্রমাণ পেলাম মুম্বইয়ের প্রসূন যোশীর আমন্ত্রণে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে গিয়ে। সেই অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হন অভিনেতা আমির খান ও তাঁর পত্নী কিরণ রাও। প্রায় চার ঘণ্টা আমার গান শুনলেন। সে দিন আমার সহশিল্পী ছিলেন তালাত আজিজ। রাগ চারুকেশী শুনে উনি অনুষ্ঠান শেষে আমায় জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘বাহ ওস্তাদ’। হাজার কাজের ফাঁকেও উনি ভারতীয় রাগ সঙ্গীত শোনেন, এটা জানতে পেরে আমি অবাকই হয়েছিলাম।
আমার জীবনে রবিবার তেমন ভাবে আসেনি। গানে গানে চলে যায় সময়। কিন্তু তারই ফাঁকে আমার ফেভারিট বিরিয়ানি আর কাবাব নিজের হাতে রান্না করি। বন্ধুবান্ধবদের ফোন করে ডেকে নিয়ে চুটিয়ে আড্ডাও হয়। সময় পেলে এখন রেওয়াজে বসি। বাকি সময়টা শ্রোতাদের গান শোনাতেই চলে যায়।

সাক্ষাৎকার: শান্তনু চক্রবর্তী
আমাদের কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে হোর্ডিং লাগানো যেতেই পারে অমানবিক অটো, দানবিক ট্যাক্সি এবং ডেঙ্গির লেঙ্গি এই ‘ত্রিফলা’র কলকাতায় আপনি স্বাগত!
রতন দত্ত। বাঘাযতীন

বছর দেড়েক আগে পর্যন্ত প্রায় সব অটো ইউনিয়নই ছিল ‘সিটু’ নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু এখন উল্টো কেস! তাই অটো বা অটোচালকদের দৌরাত্ম্যের দায় সিটুর ওপর বর্তায় না; কখনও কখনও পরাজয়ও আশীর্বাদ! তাই একটি প্রাসঙ্গিক গান: এই করেছ ভাল ‘সিটু’র হে...
বাপী ঘোষাল। ব্যান্ডেল

১ম বন্ধু: এখন দুটো শব্দ খুব শোনা যাচ্ছে: ‘মনিটারিং’ আর ‘মোরাটরিয়াম’ এদের মানে কী রে?
২য় বন্ধু: ‘মনিটারিং’ মানে হল গিয়ে টোটাল কাজ হয়ে গিয়েছে, এ বার শুধু খেয়াল রাখতে হবে; আর ‘মোরাটরিয়াম’-এর কেসটা হল টাকা নেই, কাজ কী করে হবে!
ল্যাংড়া সরকার। বর্ধমান

মানুষের লেজ থাকাটা যে অস্বাভাবিক নয়, তা খবরে জেনেছি; এর পর শিং দেখার আশা করতেই পারি! তবে এই লেজবিশিষ্টদের ‘লেজেন্ড’ বলা যাবে কি না, জানি না। কিন্তু লেজকে স্বাগত জানিয়ে পুচ্ছ-গীতি রচিত হতেই পারে বাড়িয়ে দাও তোমার লেজ, আমি আবার তোমার লেজুড় হতে চাই...!
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা

কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন ২০২০ অলিম্পিকে ২৫টা পদকের লক্ষ্যে ‘এলিট’ অ্যাথলিটদের পিছনে প্রতি বছর ৭৫ কোটি টাকা খরচ করবেন। পরিকল্পনা তারিফ যোগ্য। কিন্তু মিস্টার মাকেন, আপনি যদি গায়ে না মাখেন, তা হলে নিন্দুকের মতো বলি, ভবিষ্যতে যদি আপনার সরকার ওল্টায়, তখন এই ‘এলিট’ অ্যাথলিটদের প্যানেল ‘ডিলিট’ হয়ে যাবে না তো?
দেবু ঘোষ। কলকাতা-৩৯

(দ্রাবিড়) ওয়াল নেই, (লক্ষ্মণ)রেখাও রইল না, তবু (স)চিনের প্রাচীর আজও অটুট!
বিপুল দে। পুণে

‘চেতলা কাণ্ড’ সুরুচি নয় কুরুচি!
সুদেব রায়। সোদপুর

১ম জন: বল তো ক্রিকেটার সানি গাওস্কর আর অভিনেত্রী সানি লিওনের মধ্যে মিল কোথায়?
২য় জন: কেন, দু’জনেই ‘ওপেনার’।
১ম জন: কী রকম?
২য় জন: প্রথম জন ক্রিকেটের, দ্বিতীয় জন পোশাকের!
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর
অটোর থেকে ঝুলছে শিশু। ‘বাঁচাও’ কাঁদছে মা।
যাত্রীরা সব পিপুফিশু, গাড়িও থামছে না।
এই নাকি সেই প্রাণের শহর! সবই সবার আপন।
চাচা আপন প্রাণটি বাঁচা, এখন জীবনযাপন!
ঘুঁটের মালা গলায়, সঙ্গে ধিক্। কলকাতার সহনাগরিক
জেঠু চুপিচুপি ঠাকুমাকে কিছু বলেছিল নিশ্চয়ই। তাই ঠাকুরদার অন্য দুই পুত্র সহ পাত্রী দেখতে যাওয়া হল। বাবা আর কাকা বাড়িতে এসেই ঘোষণা করল পাত্রীর হাতে তার দাদার হাতের সোনার আংটি দেখেছে। প্রায় সত্তর বছর আগের ঘটনা। ঠাকুরদা মোটামুটি উদারপন্থী ছিলেন, বিবাহ নির্বিঘ্নে সমাধা হল।
একটু বড় হয়ে দেখেছি জেঠু আর জেঠির অন্তঃসলিলা ভালবাসা। জেঠু সাধারণ চাকরি করত। পূর্ববঙ্গ থেকে এসে খুব ভাল কিছু জোটাতে পারেনি। কোনও রকমে মাথা গোঁজার মতো বাড়ি করেছে। জেঠি ভাল গান গাইত। কত দিন দেখেছি রান্না চাপিয়ে দিয়ে হারমোনিয়াম টেনে নিয়ে গান গাইতে বসেছে। রক্ত জল করা পয়সায় কেনা মাছ তরকারি হয়তো পুড়ে গিয়েছে, নষ্ট হয়েছে, জেঠু গজর-গজর করলেও জেঠির ওই সাংসারিক জ্ঞানশূন্য মূর্তিটাই বোধ হয় ভালবাসত। ছেলেমেয়েরা কষ্ট করে মানুষ হয়ে সবাই ভাল দাঁড়িয়ে গেল। ওদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর জেঠি সংসার পুরো ছেড়ে দিল বউদের হাতে। নিশ্চিন্ত নির্ভার জেঠির কাজ তখন দাঁড়াল পান খাওয়া, আমাদের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে গল্প করতে দিনের মধ্যে অন্তত বার চারেক আসা আর ছবি আঁকা। দেখা করতে গিয়েছি জেঠির সঙ্গে দেখি বসার ঘরে জেঠি ঘুরে ঘুরে ছবি আঁকছে রবীন্দ্রনাথের। ঘরে আরও অনেক মনীষীদের ছবি টাঙানো জেঠির আঁকা। জেঠির চুল খোলা, কপালে বড় করে সিঁদুরের টিপ, লাল পাড় সাদা শাড়ির আঁচল মাটিতে লুটোচ্ছে। একটা ছবি উপহার পেয়ে রওনা হলাম। সুস্থ জেঠির সঙ্গে সেই শেষ দেখা।
খবর পেলাম জেঠির সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়ে সেমি কোমায়। এর পর আরও বিপদ ঘটল ওদের বাড়িতে। জেঠুর কোলন ক্যানসার আবার রিল্যাপ্স করাতে। অপারেশন করাতে কলকাতায় আনা হল জেঠুকে। আচ্ছন্ন জেঠির হাত ধরে জেঠু বলে এল, সিতু, ফিরে এসে যেন তোমাকে দেখতে পাই। জেঠি আর দিন সাতেক বেঁচেছিল। জেঠির শেষ বারের এই কথা না রাখা জেঠুকে দু’দিনের বেশি ধরে রাখতে পারেনি।
নতুন ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে কী হবে? ট্যাক্সি তো এমনিতেও
স্ট্যান্ড করেই থাকে, কোথাও যায় না!
টুটু রায়, গড়িয়া
ক্ষমা করিনি
২০০৫-এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তার সঙ্গে ভালবাসা শুরু। বাড়িতে বিষয়টাতে মত ছিল না। বাড়ির অজ্ঞাতে ২০০৭-এর ১৬ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি বিয়ে করি। নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার ছিলাম, কারণ যাকে ভালবাসি তাকে ছেড়ে বাড়ির লোককে খুশি করতে অন্যত্র বিয়ে সম্ভব ছিল না। ২০০৯-এ দু’জনেই শিক্ষকতার চাকরি পাই, সৃষ্টি হয় স্থানিক দূরত্ব। শুরু হয় তুচ্ছ বিষয়কে অবলম্বন করে মনোমালিন্য। হঠাৎ এক দিন ফোনেই জানায় ডিভোর্স দিতে চলেছে আমাকে। পরে জানলাম ওর স্কুলেরই এক ইংরেজির শিক্ষককে বিয়ে করতে চলেছে সে, তাই আমার কাছ থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন ডিভোর্স। যেখানে ভালবাসাই নেই, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হই। কী দুঃসহ অবস্থার মধ্যে সেই সব দিন কাটিয়েছি তা ঈশ্বরই জানেন। মানুষের জীবনকে নিয়ে এই খেলা, মিথ্যাচারিতা, এই পাশব প্রবৃত্তিকে ঘৃণা করি। জগদীশ্বর যেন এই সব রত্নদের ক্ষমা না করেন।
অরবিন্দ মণ্ডল, মেদিনীপুর

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
বিভাগ। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১

নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন থেকে কুড়িয়ে
পাওয়া ভালবাসার বাস্তব কাহিনি আমাদের পাঠান।

২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.