স্ত্রীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন যুবকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দাবি মতো দু’ভরি সোনার হার পণে দিতে না-পারায় সদ্য বিবাহিতা বধূকে গায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। সাত বছর পরে ওই বধূর স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল তমলুক আদালত। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সঞ্জীব শর্মা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দু’মাস কারাদণ্ডের সাজা শোনান কোলাঘাটের শেখ সফিককে। |
|
ধৃত শেখ শফিক। —নিজস্ব চিত্র। |
জেলা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাটের ভোগপুর গ্রামের মেয়ে জুবেদানের সঙ্গে স্থানীয় চিমুটিয়া গ্রামের শেখ শফিকের বিয়ে হয়েছিল ২০০৫ সালের ১২ এপ্রিল। বিয়েতে পণবাবদ বেশ কিছু সামগ্রী দিয়েছিলেন জুবেদানের বাবা জাফর আলি। কিন্তু আরও দু’ভরি সোনার হার চেয়ে জুবেদানের উপর অত্যাচার শুরু হয়। এ দিকে, বিয়ের কিছু দিন পর স্ত্রী-সহ পরিবারের সকলকে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে নিজের কর্মস্থলে নিয়ে যান পেশায় রাজমিস্ত্রি সফিক। ২০০৬ সালের ১২ জানুয়ারি হরিদ্বারের বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় জুবেদিনকে পড়শিরা উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। চিকিৎসকেরা জুবেদানকে দুন হাসপাতালে স্থানান্তরের সুপারিশ করলেও শফিক কোলাঘাটের বাড়িতে নিয়ে চলে আসে। বেশ কয়েকদিন পরে জুবেদানকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১০ ফেব্রুয়ারি সেখানেই মৃত্যু হয় জুবেদানের। মৃত্যুর আগে জবানবন্দিতে জুবেদান তাঁর স্বামীই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়ে যান। সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবাশিস ভট্টাচার্য জানান, জুবেদানের দাদা মুসলেম আলির অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত কোলাঘাট থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পুলিশ হরিদ্বার থেকে শফিককে গ্রেফতার করে। |
|