বিদ্যুদয়নের দাবিতে ভাঙচুর, পঞ্চায়েতে প্রহৃত প্রধান-সহ তিন
লাকায় বিদ্যুদয়নের কাজে গড়িমসির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসে এসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি প্রধান-সহ তিন জনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার তৃণমূল পরিচালিত ভোগপুর পঞ্চায়েতে।
ওই পঞ্চায়েতের একপ্রান্তে সোনামুই পাড়ায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ ওই এলাকার শ’তিনেক বাসিন্দা পঞ্চায়েত অফিসে জড়ো হয়ে বিদ্যুদয়নের কাজে দেরি হচ্ছে কেন জানতে চান। প্রধান বোঝানোর চেষ্টা করেন, এটা বিদ্যুৎ দফতরের কাজ। পঞ্চায়েত থেকে সহযোগিতা করা যায় মাত্র। কিন্তু গ্রামবাসীরা তা না বুঝে অবিলম্বে বিদ্যুতের কাজ শুরু করার লিখিত প্রতিশ্রুতি চান প্রধানের কাছে। বাদানুবাদ বাড়তে থাকলে বিক্ষুব্ধেরা একসময় পঞ্চায়েত অফিসের চেয়ার-টেবিল-সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর শুরু করেন। নথিপত্রও তছনছ করা হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান সুকুমার সাহু-সহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য মুজিবর রহমান ও সদস্য রবীন্দ্রনাথ মান্নাকে মারধর করেন একদল উত্তেজিত গ্রামবাসী। তিন জনকেই আটকে রেখে দেন পঞ্চায়েত দফতরে। খবর পেয়ে রাত ৯টা নাগাদ কোলাঘাট থানা ও জেলা সদর থেকে পুলিশ বাহিনী যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই তিন জন ছাড়া পান। রাত ১১টা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠে।
তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, গ্রামবাসীর নাম করে সিপিএম সমর্থকরা ওই হামলা করেছে। ভোগপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুকুমার সাহু বলেন, “ওই এলাকায় বিদ্যুদয়নের কাজের জন্য সমীক্ষা করছে বিদ্যুৎ দফতর। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এই নিয়ে কথা বলতে এসেছিলেন। কিন্তু তারপর কয়েকশো গ্রামবাসী জড়ো হয়ে যে ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে হামলা চালিয়েছেন, তা প্রত্যাশিত নয়। এই ঘটনায় সিপিএমের সমর্থকরা জড়িত রয়েছেন।” এই বিষয়ে খোঁজ নিতে শুক্রবার ভোগপুর পঞ্চায়েত অফিসে যান কোলাঘাটের তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী। বিপ্লববাবু বলেন, “বিদ্যুদয়নের কথা বলতে এসে পঞ্চায়েত অফিসে যে ভাবে হামলা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কিছু ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দাদের ভুল বুঝিয়ে পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।” সিপিএমই পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেনও।
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহি বলেন, “ভোগপুর এলাকায় সাংগঠনিক ভাবে আমরা বরাবরই দুর্বল। তাই আমাদের সমর্থকরা পঞ্চায়েত অফিসে হামলা করেছে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। উন্নয়ন নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ থাকলেও পঞ্চায়েত অফিসে হামলা ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের মারধরের ঘটনা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটনা ঘটেছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.