নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচলতি এক দম্পতি ও তাঁদের ৫ বছরের শিশু কন্যাকে পিষে দিয়ে রাস্তার পাশে বাড়ি ভেঙে উল্টে গেল কেরোসিন তেলের ড্রাম বোঝাই ট্রাক। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। গুরুতর জখম হয়েছে শিশুর বাবা ও মা। মালদহের রতুয়ার গোঁসাইপুরে পুখুরিয়া-মালদহ রাজ্য সড়কের উপর বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পরে গুরুতর জখম দম্পতিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আড়াইডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার পরে যান নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এলাকায় গতিরোধক বসানোর দাবিতে পথ অবরোধ শুরু করেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। দু ঘন্টা বাদে পুলিশের অশ্বাস পেয়ে সকাল ১০টায় অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা। দুর্ঘটনার পর ট্রাক ফেলে চালক পালিয়ে যান বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃত শিশুর নাম টুম্পা খাতুন। জখম বাবা তাজু নাদাব ও মায়ের নাম আনসারি বিবি। প্রতিবেশী হাবুল নাদাবের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ওই সময় পরিবারের কেউ ঘরে না থাকায় কেউ হতাহত হননি। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেছেন, “নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পলাতক চালকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ দিন ভোর ৫টা নাগাদ তেলের ড্রাম বোঝাই ট্রাকটি শোভানগরের দিক থেকে রতুয়ার দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় মেয়ে টুম্পাকে নিয়ে মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন পেশায় দিনমজুর তাজু নাদাব। তখন উল্টো দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে ৩ জনকে ধাক্কা মেরে সোজা গিয়ে হাবুল নাদাবের বাড়িতে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। রাস্তার পাশে পূর্ত দফতরের জমিতে ওই বাড়িটি রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। হাবুল নাদাবের কয়েকটি বাড়ির পরেই তো শিশুটির বাড়ি। ঘটনার পরই যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। অভিযোগ, বারবার বলা হলেও যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশের হস্তক্ষেপে দু’ঘন্টা পর অবরোধ ওঠে। |