একদিকে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি এড়ানো, অন্যদিকে বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়। ওই দুই ভাবনা একসঙ্গে বাস্তবায়িত করতে দিনহাটা শহরে ৭০০টি সৌরবাতি লাগানোর পরিকল্পনা করেছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। দিনহাটা পুরসভার তরফে ওই ব্যাপারে প্রকল্প তৈরি করে ইতিমধ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত বছর দিনহাটা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে পরীক্ষামূলকভাবে একশোটি সৌরবাতি লাগানো হয়। লোডশেডিংয়ের সময় ওই সৌরবাতি রীতিমতো নজরকাড়া হয়ে উঠেছে। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও একই রকম ভাবে সৌরবাতি লাগানোর দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সব কিছু মাথায় রেখেই চলতি বছরে আরও ৭০০ সৌরবাতি লাগানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন পুরসভার কর্তারা। দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান চন্দন ঘোষ বলেন, “সাতশো সৌরবাতি লাগানো হলে পথবাতি বাবদ বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমানো যাবে। তা ছাড়া এতে লোডশেডিংয়ের সময়েও শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে না।” পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, দিনহাটা শহরে মোট ২৪৪৮ টি বৈদ্যুতিক পথবাতি রয়েছে। ফি মাসে গড়ে ৭০ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল আসে। ৭০০টি সৌরবাতি লাগানো হলে সমসংখ্যক বৈদ্যুতিক পথবাতি কমিয়ে দেওয়া হবে। এতে প্রতি মাসে গড়ে অন্তত ১০-১২ হাজার টাকা খরচ কম হবে। দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান চন্দন ঘোষ বলেন, “সরকারি ভর্তুকি মিললে সৌরবাতি লাগানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৫৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে। বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে ওই টাকার সংস্থান করা হবে। এলাকার বিধায়ক, সাংসদের সঙ্গে এ নিয়ে ইতিমধ্যে কথাও হয়েছে। সকলেই আশ্বাস দিয়েছেন। পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, দিনহাটা মেন রোড, কলেজপাড়া, চৌপথী, থানা পাড়া, গোধূলিবাজার, স্টেশন রোড, গোসানি রোড, সাহেবগঞ্জ রোড, গোপালনগর, ঝুড়িপাড়া, রংপুর রোড সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ওই সৌরবাতি লাগানোর ব্যাপারে প্রাথমিক সমীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, ওই সব ব্যস্ততম ও জনবহুল রাস্তার একাংশে বৈদ্যুতিক পথবাতির মাঝে মাঝে সৌরবাতি স্তম্ভ বসানো হবে। এ ছাড়াও শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে কিছু সংখ্যক সৌরবাতি বসানোর বিষয়টি ওই পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে। সে জন্য সূর্যের আলো পৌঁছয় এমন জায়গা চিহ্নিত করার মতো কিছু বিষয় মাথায় রাখা হচ্ছে। দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান চন্দন ঘোষ বলেন, “শহরের সমস্ত ওয়ার্ডেই সৌরবাতি লাগানোর বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।” |