|
|
|
|
ডেঙ্গি রুখতে ব্যবস্থা, আশ্বাস দিলেন মেয়র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
দেরিতে হলেও হুঁশ ফিরল আসানসোল পুরসভার। শহরের বিভিন্ন এলাকায় মশা বাহিত রোগ প্রতিহত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেন মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এ’বিষয়ে একাধিক কর্মসূচী গ্রহণের কথা জানান তিনি। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জঞ্জালের স্তুপ ও জমা জল দেখা যাচ্ছে। মশার উপদ্রব রুখতে পুরসভার তরফে কীটনাশক প্রয়োগও হচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের।
আসানসোল পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডে এখনও পর্যন্ত ৭জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। আসানসোলের মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক অরিতা সেন চট্টরাজ জানান, পুরনো মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা, ময়দাকল সংলগ্ন দিলদার নগর, দামড়া কোলিয়ারি সংলগ্ন উত্তর ধাদকা ও মহিশিলা ৩ নম্বর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার পরে তাঁরা এখন সুস্থ রয়েছেন। অরিতা জানান, এই এলাকাগুলি থেকে নিয়মিত রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দু’বার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আরও কয়েকবার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে। পাশাপাশি অরিতাদেবী আরও জানান, কুলটিতে দু’জন, রানিগঞ্জের এগাড়া এলাকায় দু’জন ও বারাবনিতে একজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে রানিগঞ্জের একজনের অবস্থা ভাল নয়। তবে বাকিরা সুস্থ। কুলটি, রানিগঞ্জ ও বারাবনির ডেঙ্গি-আক্রান্ত অঞ্চলগুলি থেকেও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, “ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বিভিন্ন এলাকায় ভাগ করে স্বাস্থ্য কর্মীদের দল যাচ্ছে। পরিস্থিতি সরেজমিনে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা এলাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও জমা জল মুক্ত রাখার জন্য জন সচেতনতা বাড়ানোর দিকে প্রচার অভিযান চালাচ্ছি।”
মশা বাহিত রোগ ও ডেঙ্গি প্রতিরোধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ বৈঠক হয় আসানসোল মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে। আসানসোলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমা শাসক প্রতুলকুমার ভুঁইয়া জানান, এ দিনের বৈঠকে বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েতকে এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, মশার উপদ্রব রুখতে কীটনাশক প্রয়োগ করা এবং এলাকা জমা জল মুক্ত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিয়মিত দেখভালের জন্য মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকাগুলিতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। |
|
|
|
|
|