মমতার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের অর্ন্তদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। জোটে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘রাস্তায় নামা’র সমালোচনা করেছেন প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৈত্রেয়ী সাহা। প্রদেশ কংগ্রেস বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি কার্যত ‘অনাস্থা’ও প্রকাশ করেন তিনি। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তাঁর মন্তব্য জানার পরে কংগ্রেসের মহিলা নেত্রীদের একাংশের দাবি, সংগঠনের দায়িত্ব থেকে মৈত্রেয়ীকে সরাতে হবে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
এ দিন সংগঠনের অবস্থান জানাতে মৈত্রেয়ী বিধানভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পরেও সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য ঘর খোলা না পেয়ে মৈত্রেয়ীর অনুগামীরা প্রদেশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা মায়া ঘোষ বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য ঘরটি খুলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। মৈত্রেয়ীর অভিযোগ, “রাস্তায় নেমে সরকারকে অপদস্থ করার বিরোধী। সরকারে থেকে এ ভাবে আন্দোলন অশোভন। সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও এমন আন্দোলন না করার জন্য বলেছেন।” নাম না করে প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের সমালোচনা করে বলেন, “জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতার মধ্যেও কী ভাবে আন্দোলন করতে হয় তার দিশা প্রণববাবু, সোমেন মিত্র প্রদেশ সভাপতি থাকাকালীন দেখেছিলাম। এখন নেতৃত্বের অভাব বোধ করছি।”
এ নিয়ে প্রদীপবাবু মন্তব্য করেননি। মৈত্রেয়ীর বক্তব্যর প্রতিবাদ জানান কংগ্রেস নেত্রী মালা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঊর্বশী দত্তরা। মৈত্রেয়ীর সমালোচনা করে মালা বলেন, “ব্যক্তিগত স্বার্থে উনি তৃণমূল-বিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করছেন।” নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সাংসদ অধীর চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সি-সহ অনেকে সরব। কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার রাজ্যের সব থানায় বিক্ষোভের ডাক দেন প্রদীপ ভট্টাচার্যরা। কারখানার দাবিতে রবিবার সিঙ্গুরে সমাবেশ করবে কংগ্রেস। দলের এক প্রবীণ নেতার কথায়, “পঞ্চায়েত ভোটে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৫০% আসনে প্রার্থী খুঁজতে ব্যস্ত। আর দলের মহিলাদের একাংশ এখন কোন্দলে ব্যস্ত।’’ মহিলা-নেতৃত্ব বদলের জন্য দিল্লির কাছে দরবার করবেন বলে জানান মালা। |