আগামী ১ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের সময় তাঁর হাত দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট উদ্বোধন করানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার পরীক্ষামূলক ভাবে জ্বালানো হবে স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট। মাঠের সর্বত্র আলো ঠিক মতো মিলছে কি না সে সব পরীক্ষা করে দেখা হবে আগামী কয়েকদিন ধরে। তোড়জোড়ের আরও কারণ, ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল-সহ ১৪টি ম্যাচ হচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে খেলা শুরু হবে। বৃহস্পতিবার ফেডারেশনের বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ এবং স্টেডিয়াম কমিটির সদস্যদের ফোনে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই চিঠি পাঠিয়ে ফেডারেশনের তরফে তাঁদের বিস্তারিত জানানো হবে। তবে ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান দল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের খেলাগুলি শিলিগুড়িতেই হচ্ছে। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের কো-অর্ডিনেটর দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “ফেডারেশন কাপের ২ টি গ্রুপের খেলাগুলি শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ম্যাচ হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব যে ভাবে তৎপর হয়ে ফ্লাড লাইটের ব্যবস্থা করেছেন তাতেই ফেড কাপের এই খেলা শিলিগুড়িতে করানো সম্ভব হচ্ছে। তাঁর উদ্যোগ প্রশংসনীয়।” ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া উত্তরবঙ্গে। খুশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “এ ধরনের বড় মাপের ফুটবল ম্যাচ শিলিগুড়িতে কমই হয়েছে। ফেডারেশন কাপের খেলা শিলিগুড়িতে দেওয়ার জন্য এআইএফএফ-এর কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। আমাদের তরফে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। ফাইনাল-সহ দুটি গ্রুপের অন্তত ১৪টি ম্যাচ শিলিগুড়িতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা খুশি। মুখ্যমন্ত্রী শীঘ্রই উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন। তাঁর হাত দিয়েই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইটের উদ্বোধন করাতে চাই।” ফেডারেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন ২ টি করে ম্যাচ হবে। দুটি গ্রুপের মোট ৮ টি দল অংশ নেবে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘার ম্যাচগুলিতে। ৩০ সেপ্টেম্বর ফাইনাল খেলা। অন্তত একটি সেমি ফাইনাল খেলাও হবে শিলিগুড়িতে। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইটের ব্যবস্থা না-হলে ফেডারেশনের কাপের খেলা করানো সম্ভব নয় জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। ক্রীড়া দফতরের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচে ফ্লাড লাইট লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় গত মে মাসে। ম্যাকিনটোস বার্ন এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার কপিল দেবের একটি সংস্থা যৌথভাবে ওই কাজের বরাত পায়। ম্যাকিনটোস বার্ন সংস্থার তরফে দ্রুততার সঙ্গে যাতে কাজ করা হয় তা নিশ্চিত করতে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তাঁর মাধ্যমে ওই সংস্থার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা হয়। ফলশ্রুতিতে সাড়ে ৩ মাসের মধ্যেই মাঠে আলো লাগানোর কাজ তারা সম্পূর্ণ করে। সপ্তাহ দু’য়েক আগে ফেডারেশনের হয়ে দেবজ্যোতিবাবু কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠ পরিদর্শন করেন। ফেডারেশন কাপের জন্য কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে যান। সেই মতো কাজও শুরু হয়। স্টেডিয়াম কমিটির সচিব তথা মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব এ দিন সার্কিট হাউজে সদস্যদের নিয়ে এ ব্যাপারে বৈঠক করেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ফেডারেশনের নির্দেশ মেনে স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম, শৌচাগার সংস্কার করা হবে। স্টেডিয়াম সাজিয়ে তুলতে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হবে। |